কর বসতে পারে ক্যাপিটাল গেইনে

::সূত্র:টিবিএস আপডেট: ২০২৪-০৬-৩০ ১৫:৫০:০৮


দেশের অর্থনীতির সার্বিক সূচক ভালো হলেও নানামূখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার।  প্রতিদনিই কমছে সূচক ও বাজার মূলধন। বিভিন্ন বিষয়ে চলছে গুজব। এর মধ্যে নতুন করে শোনা যাচ্ছে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের মুনাফার উপর কর বসাতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী অর্থ বছর থেকে এটি কার্যকর করতে চায় সংস্থাটি। তবে বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৩২ এর উপধারা ৭ অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে ক্যাপিটাল গেইনের উপর ব্যক্তি পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদেরকে আয়কর দিতে হয় না। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য এই কর হার ১০ শতাংশ। এটিকে পরিবর্তন করে চলতি অর্থ বছরে কর বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিলো এনবিআর। তবে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এর তদারকির কারণে কর বসায়নি এনবিআর।

এদিকে এবছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইনের উপর বাড়তি কর আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআর এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৫ সালে ১ জুলাই সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশ (এসআরও) এর মাধ্যমে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত স্টক, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড এবং ডিবেঞ্চারগুলোতে ক্যাপিটাল গেইন থেকে কর প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে এই অর্থ বছর থেকে আবার বসানো হতে পারে।

এই নীতি বাস্তবায়িত হলে, ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা তাদের আয়কর স্ল্যাবের উপর নির্ভর করে তাদের পুঁজিবাজার লাভের বিপরীতে ৫% থেকে ২৫ % পর্যন্ত কর বসতে পারে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে অর্জিত মুনাফার উপর এই কর বসানো হবে। প্রাথমিক করের হার কম হবে। তবে পর্যায়ক্রমে এটি আরও বাড়বে। এটি হলে পুঁজিবাজার আরও ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মনে করে বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাব সহ-সভাপতি ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মোহাম্মদ আলী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশর পুঁজিবাজার টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। এই মুহুর্তে সরকার এই জাতীয় সিদ্ধান্ত নিলে পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

তিনি বলেন, সরকারের উচিত করের কথা বিবেচনা করার আগে অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজার বিকাশের সুযোগ দেওয়া। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিকাশের অনেক জায়গা আছে। এটি করতে পারলে সরকার এই বাজার থেকে অনেক বেশি কর সংগ্রহ করতে পারবে।

উল্লেখ, টানা দরপতনের কারণে ৩৬ মাসের সর্বনিম্মে অবস্থান করছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক।