কনসুলেটেড কাস্টমার একাউন্ট নিয়ে চাপে হাউজগুলো

সানবিডি২৪ আপডেট: ২০২৪-০৯-২৬ ১০:০৭:২৮


কনসুলেটেড কাস্টমার একাউন্ট (সিসিএ) নিয়ে চাপে পড়তে যাচ্ছে ট্রেকহোল্ডাররা। আগামীতে প্রতিদিন এই হিসাব জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আসছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিমাসে একবার এই হিসেব জমা দেয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ডিএসইর কাছে এই বিষয়ে মতমত জানতে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মার্কেট অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিস অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনে(এমআইএডি) সহকারি পরিচালক আব্দুল বাতেন এই চিঠিতে সই করেছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) মতামত জানাতে নির্দেশনা দিয়েছে।

ডিএসই সূত্র মতে, নতুন পুরাতন মিলে ৩০৯টি ট্রেকহোল্ডার রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন সিসিএ হিসাব জমা দিলে সেগুলো দেখবাল করার সক্ষমতা ডিএসইর আছে কী না এমন প্রশ্ন করেছেন অনেক ট্রেকহোল্ডার। তাদের মতে এটি হবে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাড়তি চাপ। কাজ আসলে কিছুই হবে না।

বিএসইসি ও ডিএসই সূত্র মতে, সিসিবিএ একাউন্টে বিভিন্ন সময়ে কিছু অনিয়ম হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টের বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি থেকে রক্ষায় যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। অ্যাকাউন্টগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে বড় ধরণের অনিয়ম হয়েছে।

সূত্র মতে, ডিএসই ২০২০ সালের ৯ জুলাই ১২টি, ১৬ জুলাই ২টি, ২৫ আগস্ট ২টি এবং ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৮টি ব্রোকারেজ হাউস পরিদর্শন করে। এগুলোতে গ্রাহকদের ১০৭ কোটি টাকা জমা থাকার কথা থাকলেও পাওয়া যায় ৪৯ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দাঁড়ায় ৫৮ কোটি টাকা।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী অ্যাপেক্স ইনভেস্টমেন্ট ২৬ কোটি ২৮ লাখ, সিনহা সিকিউরিটিজ ৭ কোটি ৮১ লাখ, আল মুনতাহা ট্রেডিং কোম্পানি ৪ কোটি ৬৯ লাখ, এক্সপো ট্রেডার্স ৪ কোটি ৩৪ লাখ, জয়তুন সিকিউরিটিজ ২ কোটি ৭০ লাখ, মিরর ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ২ কোটি ৫৪ লাখ, এরিনা সিকিউরিটিজ ২ কোটি ১০ লাখ, এম সিকিউরিটিজ ২ কোটি ৯ লাখ, সাদ সিকিউরিটিজ ১ কোটি ৭৫ লাখ এবং শ্যামল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট গ্রাহকের ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সরিয়েছে। এর পর ডিএসইর মনিটরিং বাড়ানোর ফলে তারা আবার সেই টাকা অনেক প্রতিষ্ঠানই সিসিএ হিসেবে জমা করেছে।

এছাড়া বিএসইসির এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহকের সিসিএ থেকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ নামের একটি ব্রোকারেজ হাউস ১০৫ কোটি টাকা সরিয়েছে। সম্প্রতি মশিউর সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে ১৬১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে ডিএসইর সাথে যোগযোগ করা হলে উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সানবিডিকে বলেন, বিএসইসি থেকে আমরা এ ধরণের এবটি নির্দেশনা পেয়েছি। বিষগুলো নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করছি। পরে স্টেইকহোল্ডারদের সাথে আলাপ করে একটি যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাবনা বিএসইসিতে জমা দিবো।

সার্বিক বিষয়ে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম সানবিডিকে বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি বাড়তি চাপ। এখন আমরা প্রতিমাসে জমা দিচ্ছি। বিষয়গুলো নিয়ে বিএসইসি ও ডিএসইর সাথে আলাপ করবো। আমরা অনুরোধ করবো এটি যাতে যুক্তিসঙ্গত একটি নির্দেশনা দেয়।