মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-১০-১৩ ১২:৫৬:৫৫


ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সিদ্দিকির ছেলের অফিসের কাছাকাছি এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা এসময় প্রায় ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। এর মধ্যে চারটি গুলি বাবা সিদ্দিকির শরীরে লাগে।

ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সাবেক এ মন্ত্রীকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাকে। এ ঘটনায় তার একজন সঙ্গীও আহত হয়েছেন।

বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি বান্দ্রা পূর্ব থেকে নির্বাচিত বিধায়ক। দিওয়ালি উৎসবের মধ্যে এবং মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সাবেক মন্ত্রীর ওপর এই হামলায় রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে।

এরই মধ্যে বিরোধী দলগুলো মুম্বাইয়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীতে এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। সরকারকে এর দায়িত্ব নিতে হবে এবং পদত্যাগ করতে হবে।

কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেট্টিওয়ার বলেন, যেভাবে ওয়াই লেভেলের নিরাপত্তা পাওয়া একজন নেতাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ও দুঃখজনক। সরকার মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে এবং অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

এ অবস্থায় মহারাষ্ট্র সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, এমন ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত এখনও পলাতক। পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে মুম্বাইয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি না ঘটে।

উল্লেখ্য, বাবা সিদ্দিকি বান্দ্রা পশ্চিম থেকে ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে তিনবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত খাদ্য, নাগরিক সরবরাহ, শ্রম এবং এফডিএ-এর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বাবা সিদ্দিকি রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন সুপরিচিত এক মুখ ছিলেন, তেমনি বলিউডের সঙ্গেও তার গভীর সম্পর্ক ছিল। ২০১৩ সালে তার আয়োজিত ইফতার পার্টিতে শাহরুখ খান এবং সালমান খানের শীতল সম্পর্ক ফের উষ্ণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাবা সিদ্দিকির।

এম জি