মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিচারে দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদ ইবিতে

---

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে কেন্দ্র করে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারে দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করতে হবে, জঙ্গি লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে’, ‘বিচারপতিদের প্রহসন মানি না মানবো না’, ‘দালাল বিচারপতিদের অপসারণ করতে হবে’, ‘মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে’—সহ বিভিন্ন লেখাসম্বলিত প্লা-কার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাজারও ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। যাদের হাতে আমাদের ভাই-বোনদের রক্ত লেগে আছে সেই সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী সরকার সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রেখেছিল। তারা বিভিন্নভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। তারাই দেশে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি করছে। তাদের বিরূদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি আওয়ামী সরকারের দালাল যেসকল আইনজীবী ও বিচারপতি গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করছে তাদেরকে অপসারণ করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার ও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার বিভিন্নভাবে ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে, গুম করেছে শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। যেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে এদেশের মানুষের রক্ত জড়িয়ে আছে সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে এদেশে আমরা কখনোই মেনে নেব না। ছাত্র জনতার প্রাণের দাবি সন্ত্রাসীলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে ও হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে। এছাড়া তিনি হাইকোর্টের আওয়ামীলীগের দোসর আইনজীবী ও বিচারপতিদের দ্রুত অপসারণ, পুলিশের মধ্যে লুকিয়ে থাকা দোসরদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি এবং বাজার ব্যবস্থা শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

এম জি