বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন: জয়পুরহোটে নিহত বিশাল ও মেহেদীর লাশ উত্তোলন

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-১০-১৭ ২১:০৩:৩৭


আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোনে নিহত কলেজ ছাত্র নজিবুল সরকার বিশালের লাশ নিহতের ৭৩দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের রতনপুর উত্তরপাড়া এলাকার কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়।

জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল বাইন নির্দেশে বিশাল সরকারের লাশ উত্তোলন করা হয়। এসমসয় জেলা কারাগারের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ আলম শোভন, জয়পুরহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর রহমান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমসহ পুলিশ ও নিহত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিহত ছাত্র নজিবুল সরকার উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মজিদুল সরকার। সে পাঁচবিবির বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। স্থানীয়দের কাছে বিশাল নামে পরিচিত।

সুত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট জেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন নজিবুল সরকার বিশাল। ওইদিন রাতেই তার মরদেহ দাফন করা হয়। এরপর ১৪ দিনপর (১৮ আগস্ট, ২৪) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৮ জনের নামে আদালতে মামলা করেন বিশালের বাবা মজিদুল সরকার।

এদিকে, গণআন্দোলনে অটোচালক মেহেদীর মরদেহ ৭২ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে শহরের নতুনহাট কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়। মরদেহ উত্তোলনের সময় জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রউফ, জেলা কারাগারের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ আলম শোভন, জয়পুরহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর রহমান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমসহ পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সুত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিল নিয়ে জয়পুরহাট থানা এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান অটোচালক মেহেদী। এরপর গত ২০ আগস্ট দুপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ ২১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নিহত মেহেদীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার সৃষ্টি।

নিহত ছাত্র নজিবুল সরকার ওরফে বিশাল ও অটোচালক মেহেদীর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি পরিবার ও স্থানীয়দের।

বিএইচ