সকল সুবিধাসহ ২০২৬ সালে প্রস্তুত হবে সরকারি ৫ অর্থনৈতিক অঞ্চল

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৫-০১-০৭ ১৬:৩৩:২৯


আগামী বছরের (২০২৬ সালের) মধ্যে সরকারি ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা মিলবে। এর মাধ্যমে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল পুরোপুরি প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেজার অগ্রগতি ও পরিকল্পনা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিডার মাল্টিপারপাস হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী বছর যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল পুরোপুরি প্রস্তুত হবে সেগুলো হলো- জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট (সিলেট) অর্থনৈতিক অঞ্চল, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, মহেশখালীর অর্থনৈতিক অঞ্চল ও জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, আগামী এক বছর এই ৫টা অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমাদের মূল ফোকাস থাকবে। এর বাইরে অন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে কাজ অ্যাভয়েড করার চেষ্টা করবো।

চেয়ারম্যান বলেন, ১০০ ইকনোমিক জোন নির্মাণের জায়গা থেকে আমরা সরে যাচ্ছি না। তবে এখন আমাদের মনে হচ্ছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা ১০টি ইকনোমিক জোনের কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ করতে চাই। যেসব এলাকায় মানুষ পিছিয়ে আছে, সেখানে বেজার কাজ হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও কর্মসংস্থানর সৃষ্টি করা। বেজার কাজ প্রফিট করা নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনও সরকারি এই পাঁচটি ইকনোমিক জোনে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ দিতে পারিনি। তবে আমরা পরিকল্পনা করেছি, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে এই পাঁচটি ইকনোমিক জোনে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। এছাড়া বেসরকারি ইকোনমিক জোনের জন্য রোডম্যাপ করা হবে। এই রোডম্যাপ অনুযায়ীই বেসরকারি ইকনোমিক জোনগুলোতে যোগাযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ কর হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বেজা চেয়ারম্যান বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে আড়াই লাখ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আছে। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয় না। আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা এই পাঁচটি ইকনোমিক জোনে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু আমাদেরও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আছে। বর্তমানে বেজার ওয়েবসাইট থেকে ৬০টি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু আছে এবং আরও সার্ভিস চালুর অপেক্ষায় আছে বলে জানান তিনি।

পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে আরো ১৩৩টি বিনিয়োগকারীর মাধ্যমে সাড়ে ৫শ কোটি ডলার বিনিয়োগ আনার পরিকল্পনা রয়েছে। একশটি ইকনোমিক জোন বন্ধ বা বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে কাজ করছি। এ পর্যন্ত সাত হাজার ২শ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ৪৫ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ৮৩টি বিনিয়োগকারী ছাড়া বাইরের সবচেয়ে বেশি চীনের ১১টি। এরপর জাপান ৬টি ও যুক্তরাজ্যের ৪টি রয়েছে। এছাড়াও ৯টি দেশের বিনিয়োগকারী রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নীতিমালার দফায় দফায় পরিবর্তন, সরকারি সেবার মান কম, মিরসরাই জোনে পানির সমস্যা, বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীন রয়েছে। মিরসরাইতে শ্রমিক সংকট রয়েছে। কারণ সেখানে আবাসনের সমস্যা।

এএ