জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যে বিষয়ে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৯-২১ ১৮:৪৭:১৯


মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে ইতিহাসে প্রথমবারের মত ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর)  ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভোর ৪টায় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন। আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট সাতটি অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে অংশ নেবেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মহামারি করোনাভাইরাস, রোহিঙ্গা, জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক বৈষম্য হ্রাস, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।

আজ সোমবাv (২১ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।

এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মূল বক্তব্য দেবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা বিষয়সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। বক্তব্যে কোভিড-১৯, রোহিঙ্গা, জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক বৈষম্য হ্রাস, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে  প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন জানতে চাইলে মোমেন বলেন, তিনি কী বলবেন আমি জানি না। তবে আগে যা বলেছেন তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তিনি বক্তব্য দেবেন।

এসময় তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যাটি তুলে ধরবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আইসিজেতে চলমান মামলা এবং আইসিসিতে রোহিঙ্গা নির্যাতনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা আগের বছরগুলোর মতোই গুরুত্বসহকারে আলোচিত হবে।

এবারে ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কারণে কোনও সাইডলাইন বৈঠক হবে না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এ বছর জাতিসংঘের ৭৫ বছর পূর্তি। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিতব্য এই অধিবেশন যেমন বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বহুপাক্ষিকতাবাদের প্রাসঙ্গিকতাকে সামনে নিয়ে আসবে, তেমনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আগামী বছরগুলোতে কী ধরনের জাতিসংঘ দেখতে চান সে বিষয়ে তাদের অভিমত, চিন্তাধারা ও পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।

কোভিড-১৯ মহামারি দমনে রাষ্ট্রসমূহের সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টিও এবারের অন্যতম আলোচিত বিষয় হিসেবে গণ্য হচ্ছে বলে তিনি জানান।

মন্ত্রী আরো বলেন, এবারের অধিবেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একদিকে যেমন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের বিষয়ে আলোকপাত করতে পারবেন, তেমনি এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য ও অগ্রগতি, নারী উন্নয়ন ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অনুসরণীয় কার্যক্রম, দারিদ্র্য বিমোচনে গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ দমন ও মাদকের বিস্তার রোধ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, গণতন্ত্র ও সুশাসনের ধারা অব্যাহত রাখা ও সর্বোপরি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের অবদানের বিষয়ে বিশ্ববাসীকে অবহিত করতে পারবেন।

সানবিডি/এনজে