পায়রা নদীতে শেখ হাসিনার নামে সেতু নির্মাণ
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৯-২২ ২১:১৫:০০
বরগুনার পায়রা নদীতে নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘শেখ হাসিনা পায়রা ব্রিজ’। স্থানীয় মানুষের স্বপ্নের সেতু নির্মাণ বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস জানিয়েছেন। খবর বাসসের।
সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পায়রা নদীতে পটুয়াখালীর লেবুখালী ও মির্জাগঞ্জ এবং বরগুনা-আমতলী তিনটি সেতু নির্মিত হচ্ছে। মির্জাগঞ্জ ও বরগুনার দুই সেতুর ডিজাইনসহ দাফতরিক কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
কাজী ফেরদৌস জানান, আরও কিছু মাঠ পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হলেই অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রাক্কলিত ব্যয় প্রস্তাব দাখিল করা হবে।
লেবুখালী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক নূর-ই আলম বাসসকে জানান, প্রায় ১ হাজার ১৭০ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের লেবুখালী সেতুর কাজ ২০১৬ সালের ২৪ জুন শুরু হয়েছে এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৬২ শতাংশ এবং মোট প্রকল্পের কাজ ৫৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নির্মাণকাজের গতি কিছুটা ধীর হলেও এই পরিস্থিতিতেও এক শিফটের কাজ চলমান রয়েছে।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সেতু বিভাগের সচিব রশিদুল হাসান, সেতু বিভাগের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ড. মো মনিরুজ্জামান, বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রকল্প পরিচালক (পায়রা সেতু) মো. তোফাজ্জেল হোসেন ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান সম্ভাব্য প্রকল্পস্থানসমূহ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে সার্কিট হাউসে সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, ব্রিজের নাম হবে ‘শেখ হাসিনা পায়রা ব্রিজ’।
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি জানান, বরগুনা-আমতলী পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেতুর কাজের অগ্রগতি তদারকি করছি।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, পায়রা নদীতে সেতু নির্মিত হলে বরগুনার সকল স্তরে উন্নয়ন হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
জেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, এই সেতু নির্মিত হলে জেলার উন্নয়নের নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি জেলার পর্যটন ও মৎস্যখাতও সমৃদ্ধ হবে।