অথচ কেউ কিনতেই চায়নি অলককে!!
আপডেট: ২০১৫-১২-১৬ ১০:৩২:২৯
দল পাবেন কি না জানতেন না। পেলেও খেলতে পারবেন কি না তাও জানতেন না। শেষ সময়ে মাশরাফির অনুরোধে কুমিল্লায় ঠাঁই হয় গত বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দারুণ খেলা অলক কাপালির। এরপর মনের কোনে একটা জেদ পুষে রেখেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা ব্যাটসম্যান। অপেক্ষায় ছিলেন কুমিল্লাকে প্রতিদান দেয়ার।
‘গত বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমি খুব ভালো করেছিলাম। ভেবেছিলাম যে বিপিএলে দল পাব। যখন পাইনি, তখন খারাপ লেগেছিল। পরে কুমিল্লা আমাকে নিয়েছিল। ইচ্ছা ছিল, তাদের আশা যতটা সম্ভব পূরণ করতে। আমার বিশ্বাস ছিল যে যখনই ওপরে ব্যাট করার সুযোগ পাব, আমি কিছু করতে পারব। আজকে ছিল সেই দিন।’ বলেন অলক।
প্লেয়ার্স বাই চয়েজ-এ অলককে দলে নেয়নি কেউ। উপেক্ষিত থেকে হতাশায় মুষড়েও পড়েছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। মাশরাফি বিন মুর্তজা এরপর কুমিল্লাকে অনুরোধ করেন অলককে দলে নিতে। তত দিনে অলকের প্রতি আগ্রহী হয় রংপুর রাইডার্স।
এমনকি রংপুরের হয়ে কদিন অনুশীলনও করেন অলক। কিন্তু দাবি ছাড়েনি কুমিল্লাও। এই নিয়ে চলে টানাপোড়েন। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক আগে আগে কুমিল্লা পায় অলককে। সেই অলকই শেষ পর্যন্ত হলেন ফাইনালের নায়ক।
ফাইনালের আগে সেভাবে ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাচ্ছিলেন না। একটা ম্যাচে চার নম্বরে নেমে ২৬ বলে অপরাজিত ৩২ করেছিলেন। আর চারটি ম্যাচে উইকেটে গিয়েছেন শেষ দিকে, যখন করার ছিল সামান্যই।
ফাইনালে সুযোগ ছিল বড় কিছুর। ২৮ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের আসামান্য ইনিংসে কুমিল্লাকে জেতালেন প্রায় হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচ। হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ