আইডিএলসির হাত ধরে পুঁজিবাজারে রবি
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৯-২৪ ০৭:৩০:৫৭
দেশের অন্যতম মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের হাত ধরে পুঁজিবাজারে আসছে দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৪১তম নিয়মিত সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন,রবি পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়আতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে দেশি বিদেশী বিনিয়োগ আসবে পুঁজিবাজার। বিএসইসির সঠিক সিদ্ধান্তে এগিয়ে যাবে দেশের পুঁজিবাজার।
এ বিষয়ে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন,আমাদের আইপিও আবেদনে সদয় অনুমোদনের জন্য বিএসইসিকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটি নিঃসন্দেহে রবির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহুর্ত। পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ মূলধনী শেয়ার হিসেবে আমরা তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছি। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। সরকারের কাছে আমাদের কিছু প্রত্যাশা ছিল, আমরা আশা করছি এ অনুমোদনের সাথে সাথে সে বিষয়গুলোও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সদয়ভাবে বিবেচনা করা হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার অনুমোদন পাওয়ার মাধ্যমে রবিতে জনগণের অংশীদার হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো। উদ্ভাবনী শক্তিতে উজ্জীবিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আরিফ খান সানবিডিকে বলেন, আইডিএলসি সব সময় ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে কাজ করে। রবির আইপিও অনুমোদন পুঁজিবাজারের জন্য একটি ভালো খবর। এটি পুঁজিবাজারের জন্য নতুন মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের আইপিওর মাধ্যমে আসা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রবি সব চেয়ে বড় কোম্পানি। আমি মনে করি রবির পথ ধরে দেশের আরও নামী দামী কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহী হবে। ভালো কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহী হবে। এতে করে দেশের শিল্পায়ণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে পুঁজিবাজার। এগিয়ে যাবে দেশের সামগ্রীক অর্থনীতি। সবার সহযোগিতা নিয়ে আইডিএলসি আরও ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে কাজ করতে চায়।
সূত্র মতে,কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ছাড়বে। এর মাধ্যমে কোম্পানির কর্মকর্তারা পাবেন ১৩৬ কোটি ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি বাজার থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে। এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আইপিও বাবদ খরচ করা হবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) রয়েছে ১২ টাকা ৬৪পয়সা।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
শেয়ারবাজারের খবরা-খবর-ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ