ডিজিটাল একাডেমি হবে সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৯-২৪ ১৩:৪৯:৪২


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট উদীয়মান চাকরির বাজারের কথা চিন্তা করেই ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল একাডেমি এবং সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে চান।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘ডিজিটাল সহযোগিতা: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অ্যাকশন টুডে’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

পূর্বে ধারণকৃত ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, কোভিড-১৯ মহামারি ডিজিটাল পরিষেবার শক্তিকে উন্মোচিত করেছে এবং ডিজিটাল বিভাজনকেও প্রকাশ করেছে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যারই ন্যূনতম ইন্টারনেট প্রবেশগম্যতা নেই। সে শূন্যতা পূরণ করতে হবে।’

বাংলাদেশে তার সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প নির্ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারের চাপের কারণেই বাংলাদেশ ইন্টরনেট প্রযুক্তিতে একটি ব্যাপক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে।

তিনি আরো বলেন, দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০৩ দশমিক ৪৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ডিজিটালাইজেশন জনগণকে পরিবর্তন-নির্মাতা হওয়ার বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল কানেক্টিভিটির ওপর আমাদের আলোকপাত অর্থনৈতিক বিকাশকে সহজতর করেছে এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক পরিবর্তনকে অনুঘটক করেছে। এটি এসডিজিগুলোকে বাস্তবায়ন এবং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করছে।’

রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামি, সিংটেলের সিইও চুয়া সুক কেওং, ডব্লিইডব্লিইডব্লিইর প্রতিষ্ঠাতা টিম বার্নার্স লি এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেফরি স্যাশেন প্যানেল আলোচক হিসেবে সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিউ) মহাসচিব হলিন ঝাওয়ের যৌথ আমন্ত্রণে এই ইভেন্টে যোগ দেন।