মানি লন্ডারিং মামলায় এনু-রুপনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-০৯-২৪ ১৩:১৬:৫৭
ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানায় মানি লন্ডারিং মামলায় আলোচিত দুই ভাই ও গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।
আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে, মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২২ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চার্জশিটে এক কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, এনু-রুপনের নামে ব্যাংকে ১৯ কোটি টাকা এবং পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ১২৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে। ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এ দুই ভাই।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসায় এবং তাদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর ও গেণ্ডারিয়া থানায় তাদের নামে ছয়টি মামলা হয়।
এনু-রুপন ছাড়া এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, শেখ সানি মোস্তফা, তুহিন মুন্সি, হারুন উর রশিদ অরফে হারুন, নবীর হোসেন শিকদার, সাইফুল ইসলাম, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, শহিদুল হক ভূইয়া, মেরাজুল হক ভূইয়া ও রফিকুল হক ভূইয়া।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুলের বন্ধু হারুন-উর-রশিদের শরৎগুপ্ত রোডের বাসা থেকে পুলিশ এক কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। পরের দিন ২৫ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনের এ মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি ভোরে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকায় এনু-রুপনকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন তাদের কাছ থেকে ২২টি জমির দলিল, পাঁচটি গাড়ির কাগজপত্র ও ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকা থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে নগদ ৪০ লাখ টাকা ও ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
সান বিডি/নাজমুল/০১:১৫/২৪.০৯.২০২০