৪৭% কোম্পানির দর কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২০-০৯-২৯ ১৬:৪৯:১৬


সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শতকরা ৪৬ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ১৬৭টি কোম্পানির দর কমেছে। বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৩০ শতাংশ বা ১৪০ টি কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বা ৪৯ টি কোম্পানির শেয়ার দর।

বাজার বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের। এ খাতের দর বেড়েছে ৬৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ২৫টি কোম্পানির। এ খাতের দাম কমেছে ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ বা ৪টি কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ বা ৮ কোম্পানির।

দর বাড়ার তায়িকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বীমা খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ৬৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বা ৩০টি কোম্পানির। দর কমেছে ২৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ১৪ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ বা ৩টি কোম্পনির।

এরপর রয়েছে বস্ত্র খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ বা ৩৩ কোম্পানির। আর কমেছে ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ বা ১২টি কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ বা ১২টি কোম্পানির।

তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে আইটি খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ৫০ শতাংশ বা ৫টিকোম্পানির। আর কমেছে ৫০ শতাংশ বা ৫টি কোম্পানির।

এরপরেই রয়েছে টেলিকমিউিনকেশন খাত। এ খাতে দর বেড়েছে ৫০ শতাংশ বা ১টি কোম্পানির। কমেছে ৫০ শতাংশ বা ১ কোম্পানির।

ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এ খাতে দর বেড়েছে ৪৭ দশমিক ০৬ শতাংশ বা ৮টি কোম্পানির। কমেছে ৪৭ দশমিক ০৬ শতাংশ বা ৮ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা ১ কোম্পানির।

এরপর রয়েছে সিমেন্ট খাত। এ খাতে দর বেড়েছে ৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ৩টি কোম্পানির। কমেছে ৫৭ দশমিক ১৪ শতাংশ ৪টি কোম্পানির।

তারপর রয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। এ খাতে দর বেড়েছে ৪২ দশমিক ১১ শতাংশ বা ৮টি কোম্পানির। কমেছে ৫২ দশমিক ৬৩ শতাংশ ১০ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ১টি কোম্পানির।

দাম বাড়ার তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে সিরমিক খাত। এ খাতে দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ বা ২ কোম্পানির। কমেছে ৪০ শতাংশ বা ২ কোম্পানির, অপরিবর্তীত রয়েছে ২০ শতাংশ বা ১ কোম্পানির।

দশম স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এ খাতে দর বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ১৪টি কোম্পানির। কমেছে ৪৮ দশমিক ৭২ শতাংশ ১৯ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ বা ৬টি কোম্পানির।

১১তম স্থানে রয়েছে চামড়া খাত। এ খাতে দর বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ২টি কোম্পানির। কমেছে ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ ৪ কোম্পানির।

এরপর রয়েছে পাট খাত। এ খাতে দর বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ২টি কোম্পানির। কমেছে ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ ৪ কোম্পানির।

১৩তম স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ বা ১০ কোম্পানির। কমেছে ৫৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বা ১৭টি কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ ৫ কোম্পানির।

এরপরেই রয়েছে বিবিধ খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ২৫ শতাংশ বা ৩ কোম্পানির। আর কমেছে ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ৮টি কোম্পানির। অবরিবর্তীত রয়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ১টি কোম্পানির।

১৫তম স্থানে রয়েছে সেবা ও আবাসন খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ২৫ শতাংশ বা ১ কোম্পানির। কমেছে ৭৫ শতাংশ বা ৩টি কোম্পানির।

তারপর রয়েছে ব্যাংক খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ১০ শতাংশ বা ৩ কোম্পানির। কমেছে ৭০ শতাংশ বা ২১টি কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ২০ শতাংশ বা ৬টি কোম্পানির।

এরপর রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। এ খাতের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ১ কোম্পানির। বেড়েছে ৯০ দশমিক ৯১ শতাংশ বা ২০ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ১ কোম্পানির।

দুই খাতের দাম বাড়েনি। এরমধ্যে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের দর কমেছে ৭৫ শতাংশ বা ৩ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ২৫ শতাংশ বা ১ কোম্পানির। আর পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতের ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ২ কোম্পানির দর কমেছে। অপরিবর্তীত রয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ১টি কোম্পানির।