শতভাগ দাম হারিয়েছে ৫ খাত
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-১০-০৫ ১৭:৩৬:৪৯
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সব ধরনের সূচক কমেছে। সূচক কমার সাথে সাথে ৫টি খাতের শতভাগ দাম কমেছে। দাম হারানো খাতগুলো হলো- আইটি খাত, টেলিকমিউশন খাত, সিমেন্ট খাত, পাট খাত ও পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাত।
বাজার বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩ কোম্পানির দাম কিছুই বাড়েনি। এরমধ্যে সিরামিক খাতের দাম কমেছে ৮০ শতাংশ বা ৪টি কোম্পানির, পেপার ও প্রিন্টিং খাতের দর কমেছে ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ২ কোম্পানির এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের দর কমেছে ৭৫ শতাংশ বা ৩ কোম্পানির।
গতকালের মতো আজও পুঁজিবাজারে আধিপত্য বজায় রাখে বীমা খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ৬৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৩১ কোম্পানির। কমেছে ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশ বা ১৫ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ বা ১ কোম্পানির।
দাম বাড়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চামড়া খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ৫০ শতাংশ বা ৩ কোম্পানির। কমেছেও ৫০ দশমিক ৫০ কোম্পানির।
দাম বাড়ার তালিকায় এর পরেই রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ বা ৬ কোম্পানির। কমেছে ৫৯ দশমিক ০৯ শতাংশ বা ১৩ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ বা ৩ কোম্পানির।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ২৬ দশমিক ৩২ শতাংশ বা ৫ কোম্পানির। কমেছে ৬৮ দশমিক ৪২ শতাংশ বা ১৩ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ১ কোম্পানির।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে সেবা ও আবাসন খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ২৫ শতাংশ বা ১ কোম্পানির। কমেছে ৫০ দশমিক ২ শতাংশ বা ২ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ২৫ শতাংশ বা ১ কোম্পানির।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ৩ কোম্পানির। কমেছে ৮২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বা ১৪ কোম্পানির।
এরপর রয়েছে ব্যাংক এবং বিবিধ খাত। এ দুই খাতের দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কোম্পানির।
তারপর রয়েছে মিউচুয়্যাল ফান্ড খাত। এ খাতের দর বেড়েছে মাত্র ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ কোম্পানি বা ৫ কোম্পানির। কমেছে ৭৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ বা ২৯টি কোম্পানির। আর অপরিবর্তীত রয়েছে ৮ দশমিক ১১ শতাংশ বা ৩ কোম্পানির।
এরপর রয়েছে, প্রকৌশল খাত। এখাতের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৩ কোম্পানির। কমেছে ৮৭ দশমিক ১৮ শতাংশ ৩৪ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বা ২ কোম্পানির।
তারপর রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বা ২ কোম্পানির। কমেছে ৯০ দশমিক ৬৩ শতাংশ ২৯ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বা ১ কোম্পানির।
এরপর রয়েছে বস্ত্র খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ৩ কোম্পানির। কমেছে ৮২ দশমিক ৪৬ শতাংশ ৪৭ কোম্পানির। অপরিবর্তীত রয়েছে ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ৭ কোম্পানির।