ইবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গুলি, আহত ১০

প্রকাশ: ২০১৫-১২-১৭ ১৬:৫৩:৩১


islami-university_25286টেন্ডার এবং শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে ভিসি অফিসের সামনে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ক্যাম্পাস ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় গঠনের কথা ছিল। নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করার জন্য বেলা পৌনে ১২ টার দিকে ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দীন কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে ভিসি অফিসে যান।

তিনি ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকারকে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। তিনি ভিসি অফিস ত্যাগ করার সাথে সাথেই সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু গ্রুপের কর্মী জুয়েল রানা হালিম এবং ফয়সাল সিদ্দীকি আরাফাতের নেতৃতে প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী একই দাবিতে ভিসি অফিসে যান।

তাদের সাথে চাকরী প্রত্যাশী আশিকুর রহমান জাপান, তৌহিদুর রহমান হিটলারসহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত ভিসি অফিসে গিয়ে তাদের চাকরি না হওয়া পর্যন্ত কোন নিয়োগ বোর্ড হতে দেবে না বলে ভিসিকে হুমকি দেন। এর আগে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাস নিয়োগ বোর্ড করার জন্য ভিসিকে অনুরোধ জানান।

এদিকে ভিসি অফিসের বাহিরে থাকা ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপ ভিসি অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মী শিশির ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ ভিসি অফিসে প্রবেশ করলে উভয গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

একপর্যায় শিশির ইসলাম বাবু পিস্তল দিয়ে মিজু গ্রুপের কর্মীদের উপর গুলি ছুড়লে মিজু গ্রুপের কর্মী সাইদুর রহমান বাবুর পায়ে লাগে। পরে মিজু গ্রুপের কর্মী জুয়েল রানা হালিমের নেতৃত্বে শিশির ইসলাম বাবুর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

পরে সহকারী প্রক্টর আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডি এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনে। বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ এবং র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

ইবি থানার ওসি চৌধুরি সফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কোন্দলের কারণে মারামারি হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের  চেষ্টা অব্যহত রেখেছে।