জামায়াত নেতা ওসমান হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিল পরিবার

প্রকাশ: ২০১৫-১২-১৭ ২২:২৬:৩২


chittingচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার রহমতনগর গ্রামে পুলিশের গুলিতে জামায়াত নেতা মো. ওসমান গনি (২৮)কে হত্যার  লোমহর্ষক বর্ননা দিয়ে দায়ী পুলিশের শাস্তি দাবি করেছে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। ওসমান গনি’র পিতা মৌলভী আবুল কাসেম বলেন, আমার ছেলে সন্ত্রাসী ছিল না। সে খুবই শান্তিপ্রিয় ছিল। পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তাকে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা এবং সর্বশেষ পুলিশ প্ররোচিত হয়ে গুলি করে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন,  দীর্ঘ ৯ মাস জেল খেটে ওসমান কয়েকদিন আগে জেল থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিল। মঙ্গলবার সে দুপুরে ভাত খেতে বসে। এ সময় সীতাকু- থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের ৪ জন ঘরে ঢুকে ওসমানকে ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। ২০০ গজ দূরে নিয়ে এসআই পরিচয়ধারী ইকবাল তাকে মারধর করে এবং গুলি করে। আমার ছেলে মাঠিতে লুটিয়ে পড়লে ৪ জন তার শরীরের উপর উঠে বসে এবং মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত চেপে ধরে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

আবুল কাসেম বলেন, দিন-দুপুরে ঠান্ডামাথায় তারা কেন আমার ছেলেকে হত্যা করল, এর জবাব কার কাছে চাইব? আমার ছেলে অপরাধী হলে দেশের আইন অনুযায়ী তার বিচার হতো। সংবাদ সম্মেলনে সীতাকুন্ড থানার এসআই ইকবালসহ দায়ী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওসমান হত্যার ব্যাপারে পুলিশকে আসামি করে পরিবারের পক্ষ থেকে দু-এক দিনের মধ্যে আদালতে মামলা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে ওসমানের বড় ভাই আলী হায়দার, ছোট ভাই কাউছার, বোন মরিয়ম, সুফিয়া, ভাবী ফাতেমাসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে সীতাকুণ্ডের রহমতনগর সিরাজ ভূঁইয়ার রাস্তার মাথা এলাকায় ৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের নেতা ওসমান গনি নিজ বাড়িতে পুলিশের গুলিতে মারা যান।  ঘটনার পর পুলিশ দাবি করেছিল, ওসমানকে গ্রেফতার করতে গেলে সে পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়। এ সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রাইফেল থেকে গুলি বেরিয়ে গেলে সে নিহত হয়।