মার্জিন বন্ধ:বিএসইসিতে উকিল নোটিশ বিনিয়োগকারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-১০-১৩ ১২:২৯:১১


কোন ধরণের নোটিশ ছাড়া নির্ধারিত একটি খাতে মার্জিন বন্ধ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ। এ খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুরো বাজারে। ফলে বাজারে সূচকের ব্যপক পতন হয়েছে। দর হারিয়েছে ৬৭ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

তাদের অভিযোগ অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। এর প্রেক্ষিত সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবির সহায়তা চেয়েছে তারা। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরী বিনিয়োগকারীদের পক্ষ হয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের কাছে উকিল নোটিশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরী সানবিডিকে বলেন, বিএসইসির আইন লঙঘন করে কোন ধরণের নোটিশ ছাড়া মার্জিন ঋণ বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রভাব পুরো বাজারে পড়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারী। এই বিষয়টি বিএসইসির নজরে আনতে তাদের হয়ে আমি উকিল নোটিশ দিয়েছি। আশা করছি বিএসইসি একটি ভালো উদ্যোগ নিবে।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়। ওইদিন ৬৭ দশমিক ২০ শতাংশ বা ২৩৮টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।

এ বিষয়ে বিএমবিএ সভাপতি মো.ছায়েদুর রহমান সানবিডিকে বলেন,গুজবের কারণে বাজারে পতন হয়েছে। মার্জির ঋণ বন্ধের কোন নোটিশ বিএসইসি আমাদেরকে দেয়নি। বিনিয়োগকারীদের গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

মার্জিন ঋণের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশন বীমা খাতের শেয়ারে মার্জিন ঋণ বন্ধ করার কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং চিন্তাভাবনাও করেনি। তবে একটি হাউজ মার্জিন দেওয়া, না দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলে মার্জিন নাও দিতে পারে। কারন ওই মার্জিনে গ্রাহকের সঙ্গে সঙ্গে তার অর্থেরও ঝুঁকি আছে। তবে কমিশনের বেধে দেওয়া সীমার থেকে বেশি মার্জিন দিতে পারবে না।