ছোট ব্রোকারদের অনৈতিক কাজে বিপাকে বড়রা!
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-১০-১৭ ১৭:১৮:২৮
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে প্রতিনিয়ত কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্রোকার ও বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে মার্জিন ঋণ নিয়ে একটি নীতিমালা করেছে বিএসইসি। এই নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গ্রাহক টানতে তাদের সাথে যোগসাজশ করে অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছে কতিপয় ছোট ব্রোকার। এতে করে চাপে আছে অন্য ব্রোকাররা।
উল্লেখ, মার্জিন অ্যাকাউন্ট হচ্ছে একটি ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট যা কাস্টমারকে সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য লিভারেজ ব্যাবহারের সুযোগ প্রদান করে থাকে। এরমানে হচ্ছে যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডার বিনিয়োগ করার জন্য ব্রোকার এর কাছ থেকে ঋণ নিতে পারবে। মার্জিনের নিয়ম সরকারীভাবে নিয়ন্ত্রিত, কিন্তু ব্রোকার এবং ডিলারের মধ্যে আবশ্যক মার্জিন এবং ইন্টারেস্টে পার্থক্য দেখা যেতে পারে।
কতিপয় বড় ব্রোকারদের অভিযোগ তাদেরকে বিএসইসি বাড়তি চাপে রাখে। অথচ কিছু ছোট ব্রোকর তাদের গ্রাহক নেওয়ার জন্য অনেক বেশি সুবিধা দিয়ে থাকে। এই সুবিধার কাগজপত্র নিয়ে বড়দের কাছে এসে অনৈতিক অনেক সুবিধা চায়। কমপ্লায়েন্স মানার কারণে তারা এই সুবিধা দিতে পারে না। ফলে গ্রাহকরা তাদের কাছ থেকে পোর্টফোলিও নিয়ে চলে যায়। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তারা।
তাদের মতে, অনেক প্রতিষ্ঠান বিএসইসির মার্জিন আইন ১৯৯৯ এর ৩(১২)(ডি) পরিপন্থী কাজ করছে। এতে করে যেমন প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকিতে ফেলছে, তেমনি গ্রাহকদেরকেও ঝুঁকিতে রাখছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এই কাজগুলো বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন তারা।
সানবিডির কাছে আসা কিছু পোর্টফোলিওতে দেখা গেছে, মার্জিন বিওতে নন-মার্জিন শেয়ার কেনা, এ ক্যাটাগরির শেয়ার বিক্রি করে টাকা ম্যাচুয়েড হওয়ার আগেই জেড গ্রুপের শেয়ার কেনা হয়েছে। অন্যদিকে জেড গ্রুপের শেয়ার বিক্রি করে আবার একই দিনে জেড গ্রুপের শেয়ার কিনেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে বর্তমান কমিশন। পুঁজিবাজারে স্বার্থে এই জায়গায় নজর দেওয়া জরুরি।
এদিকে বিষয়টি কমিশনের নজরে আসার পর গত ৩১ আগস্ট মার্জিন আইন পরিপালনের নির্দেশ দেয় বিএসইসি। সেখানে বলা হয়েছে বর্তমানে কিছু গ্রাহক মার্জিন কোর্ডে নন-মার্জিন শেয়ার লেনদেন করছে। যা মার্জিন আইন ১৯৯৯ এর ৩(১২)(ডি) পরিপন্থী। ফলে সকলকে এই আইন পরিপালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়টি ডিএসইর নজরে আনলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, যদি এমন কোন কাজ কেউ করে থাকে তাহলে অবশ্যই তা আইন পরিপন্থী। তদন্ত স্বাপেক্ষে বিষয়টি কমিশনকে জানানোর কথা বলেন তিনি।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সানবিডিকে বলেন, ব্রোকার ও গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে মার্জিন আইন ১৯৯৯ করেছে কমিশন। ওই আইনে এই বিষয়টি নিয়ে পরিস্কার করে সব বলা হয়েছে। পুঁজিবাজারের বিকাশের স্বার্থে এ আইনটি সবাইকে পরিপালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ