চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও আমরা
::
আপডেট: ২০২০-১০-২৫ ২০:১৩:৩৩
“ইস! আমি যদি অলৌকিক কিছু পেতাম! যেমনঃ আলাদিনের চেরাগ, পরশ পাথর ইত্যাদি!” এটি পৃথিবীর সব দুর্বল মানুষের বাসনা। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর সবচেয়ে অলৌকিক বস্তুটিই মানুষকে দান করেছেন, তা হলো মানুষের মস্তিষ্ক। অথচ মানুষ একটি বারের জন্যও ভেবে দেখে না যে, পৃথিবীর এত সমৃদ্ধি বা সভ্যতা কিভাবে হলো?
ভেবে দেখুন, আমি এখন লিখছি, অথচ কোন কাগজ কলম বা কালি ব্যবহার করছি না! আমার বাবা যখন স্কুলে পড়তেন তখন তিনি গাছের পাতায়, বাঁশের কঞ্চি দোয়াতে চুবিয়ে লিখতেন! অথচ পৃথিবীর এত সমৃদ্ধি আপনার হতাশার চোখেই পড়ে না। তাই অলৌকিক শক্তির খুঁজে বাবার আস্তানায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন নতুবা নিজেকে ব্যর্থ ভেবে হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছেন!
এখানে প্রথম সমস্যা হলো, মানুষ যে এত বড় অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী তা জানেন না! আর দ্বিতীয় সমস্যা হলো, এই অলৌকিক বস্তুটি পরিচালনার যে ম্যানুয়াল আছে তা মানুষ পড়েন না! আর ম্যানুয়াল না পড়েই অধিকাংশ মানুষ মস্তিষ্ক নামক দুনিয়ার সবচেয়ে জটিল ও কার্যকরী মেশিনটি পরিচালনা করতে চাচ্ছেন বলেই এটি সঠিক ও যথার্থভাবে কাজ করছে না। ফলে তিনি ব্যর্থ মানুষের কাতারে চলে যাচ্ছেন।
এই ম্যানুয়াল হলো জ্ঞান অর্জন।
অপর দিকে, একদল মানুষ এ মেশিনের সুষ্ঠু ব্যবহার করে নতুন নতুন মেশিন বা প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন। সহজে বলতে গেলে, এই মেশিন বা প্রযুক্তির ব্যবহারই মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে এক অনন্য মাত্রার উচ্চাতায় আসীন করেছে। আর এভাবেই ধারাবাহিকাভাবে মানুষ সহস্র বছর ধরে বিস্ময়কর সব সৃষ্টি করে চলেছে এবং সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করছে।
যেমন ধরুন, আগুন আবিষ্কার। এক আগুনই মানুষকে সভ্যতার দিকে লক্ষ বছর এগিয়ে নিয়েছিল। তারপর চাকা আবিষ্কার। আরও লক্ষ বছর এগিয়ে গেল মানুষ।
এভাবেই আরেকটি বড় ধাক্কা “শিল্প বিপ্লব”। ১৭৮৪ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে প্রথম শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়। এরপর ১৮৭০ সালে বিদ্যুৎ আবিষ্কার ও তার ব্যবহারে দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব এবং ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেটের আবিষ্কার ও কম্পিউটারের বহুবিধ ব্যবহার তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের সূচনা করে। আর এভাবেই মানুষ এগিয়ে যেতে থাকে সমৃদ্ধ এক বিশ্ব সভ্যতার দিকে।
আমি কোন মানুষকেই ছোট করে দেখছি না। আজ থেকে ৫০০০ বছর আগে যিনি তার ছেলেকে বলেছিলেন যে, অন্য প্রাণী বা শীত-বর্ষার আক্রমণ থেকে বাঁচতে, এই গুহাটিতে আশ্রয় নিও, তাকেও আজকে সহস্র সেলুট জানাই। মানুষের তিল তিল করে গড়ে উঠা সব অর্জনের উপর ভিত্তি করেই আবির্ভাব হয়েছে এক একটি নতুন বিপ্লব। যেমন ধরুন, আজকের ডিজিটাল বিপ্লব। যা নিয়ে এখন সারা দুনিয়ায় তোলপাড় চলছে। আর এর নামই চতুর্থ শিল্পবিপ্লব।
চার শিল্পবিপ্লবঃ
প্রথম: ১৭৮৪ সাল, বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার;
দ্বিতীয়: ১৮৭০ সাল, বিদ্যুতের আবিষ্কার;
তৃতীয়: ১৯৬৯ সাল, ইন্টারনেটের আবিষ্কার;
এবং চতুর্থ: ২০১৩ সাল, ডিজিটাল বিপ্লব।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ‘Industry 4.0’ নামেও পরিচিতি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মানব সভ্যতার ইতিহাসকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে। তাই এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে আজকের আলোচনা।
ডিজিটাল বিপ্লব কী?
সহজে বলতে গেলে স্মার্টফোনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পরিবর্তন, ইন্টারনেট অব থিংস, যন্ত্রপাতি পরিচালনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, রোবোটিকস, জৈবপ্রযুক্তি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো বিষয়গুলোর প্রভাবে মানব সভ্যতার বিকাশ ও যে পরিবর্তন লক্ষণীয় হচ্ছে, তাই চতুর্থ শিল্পবিপ্লব।
অর্থাৎ ৪র্থ শিল্প বিপ্লবটির ভিত হচ্ছে ‘‘জ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’’ ভিত্তিক কম্পিউটিং প্রযুক্তি, রোবটিক্স, আইওটি, ন্যানো প্রযুক্তি, ডেটা সাইন্স বা বিগ ডেটা ইত্যাদি।
কি কি পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হচ্ছে?
বিশ্ব ব্যাংকের জরিপ মতে, ইন্টারনেটে এখন এক দিনে বিশ্বে ২০ হাজার ৭০০ কোটি ই-মেইল পাঠানো হয়, গুগলে ৪২০ কোটি বিভিন্ন বিষয় খোঁজা হয়। এক যুগ আগেও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে এ পরিবর্তনগুলো ছিল অকল্পনীয়।
মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রভাবঃ
একদল বিশেষজ্ঞ বলছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে সব মানুষেরই আয় ও জীবনমান বাড়বে। বিশ্বের পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়াতেও ডিজিটাল প্রযুক্তি আনবে ব্যাপক পরিবর্তন।
১। ড্রোনের ব্যবহারঃ ড্রোন ব্যবস্থার মাধ্যমে আপনি প্রত্যন্ত এক গ্রামে বসেই কম খরচে পেয়ে যাবেন সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত কোন ঘড়ি কিংবা কুমিল্লার রসমালাই।
২। Internet of Thinks (IoT): ইতোমধ্যে গুগল হোম, অ্যামাজনের আলেক্সার কথা আমরা জেনেছি; যার মাধ্যমে আপনি অফিসে বসেই ঘরের বাতি, সাউন্ড সিস্টেম ও গেট ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। ধরুন, বৃষ্টির দিনে আপনি খিচুড়ি খেতে পছন্দ করেন। এটি আপনার স্মার্ট চুলা মনে রাখবে। যখনই বাইরে বৃষ্টি হবে তখনই সে খিচুড়ি রান্নার অনুমতি চাইবে, আপনি বাসার দরজা খুলেই খিচুড়ির সু-ঘ্রাণ পেয়ে যাবেন, আর আপনাকে দেখে রোবট সঙ্গে সঙ্গেই টেবিলে সেই খিচুড়ি পরিবেশন করবে। কি জিভে জল এসে গেল?
৩। ক্লাউড কম্পিউটিং: এটি নতুন কিছু নয়। শুধু ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই ক্লাউড সার্ভারে আপনার তথ্য, ছবি, ভিডিওসহ হাসি কান্নার সকল ইতিহাস জমা হতে থাকবে আজীবন। পরবর্তী জেনারেশন সহজেই বিশ্লেষণ করে নিতে পারবে তার পূর্ব পুরুষদের সামগ্রিক চিন্তা ও চেতনাকে।
৪। Artificial Intelligence (AI) : কম্পিউটার বিজ্ঞানের উৎকৃষ্টতম দৃষ্টান্ত হল কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স যে চারটি কাজ করে তা হল ১। কন্ঠ শুনে চিনতে পারা, ২। নতুন জিনিস শেখা, ৩। পরিকল্পনা করা এবং ৪। সমস্যার সমাধান করা।
যেমনঃ আপনার মোবাইল ফোনটি আপনার ফেস না দেখলে ওপেন হয় না, এটাই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এটি গ্রাহকের অভ্যাস ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী কাস্টমাইজ সেবা প্রদান করে থাকে।
৫। চালকবিহীন গাড়িঃ আপনি বৃহস্পতিবারে সারাদিন কাজ করে রাতে আপনার ব্যক্তিগত গাড়িতে উঠলেন, নির্দিষ্ট বাটন চেপে ঘুমিয়ে গেলেন। ভোর বেলায় “খোকা এলি” ডাকে আপনার ঘুম ভাঙতেই চোখ মেলে দেখবেন আপনি নিরাপদে কুড়িগ্রামের নিজ গ্রামে পৌছে গেছেন।
এই তো গেল সব সুবিধার কথা। এবার আসুন জেনে নেই চ্যালেঞ্জ গুলো কি কি?
চ্যালেঞ্জঃ
১। রোবটের ব্যবহারঃ ডিজিটাল বিপ্লবের ফলে রোবট ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। ফলে মানুষের কর্মসংস্থানে ভাটা পরবে। কর্মহীন মানুষের জীবন যাপন হয়ে যেতে পারে মানবেতর। তাছাড়াও পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী আরও পিছিয়ে যেতে পারে।
২। ড্রোনের ব্যবহার ও সাইবার অপরাধঃ এসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ঝুঁকি বাড়াবে। যেমনঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের এতগুলো টাকা নিমিশেই হাওয়া হয়ে গেল। আর নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করতে পারে।
বাংলাদেশের সম্ভাবনাঃ
১। বিপুলসংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীঃ বাংলাদেশে বর্তমানে তরুণের সংখ্যা ৪ কোটি ৭৬ লাখ যা মোট জনসংখ্যার ৩০%। আগামী ৩০ বছর জুড়ে তরুণ বা উৎপাদনশীল জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে বাংলাদেশে। একে বলে Demographic Dividend.
তরুণাই বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির ব্যবহারে সবচেয়ে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের জন্য ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল ভোগ করার এটাই সব থেকে বড় হাতিয়ার। কাজে লাগাতে পারলে জ্ঞানভিত্তিক এই শিল্প বিপ্লবে প্রাকৃতিক সম্পদের চেয়ে দক্ষ মানবসম্পদই হবে বেশি মূল্যবান।
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিপুল পরিমাণ মানুষ চাকরি হারালেও এর বিপরীতে সৃষ্টি হবে নতুন ধারার নানাবিধ কর্মক্ষেত্র। নতুন যুগের এসব চাকরির জন্য প্রয়োজন উঁচু স্তরের কারিগরি দক্ষতা। ডেটা সাইন্টিস্ট, আইওটি এক্সপার্ট, রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারের মত আগামি দিনের চাকরিগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী হলো আজকের তরুণ জনগোষ্ঠী।
২। মেধাবী ও দক্ষ কৃষকঃ বাংলাদেশের জমি সোনার চেয়েও খাঁটি। এই জমির অধিক ব্যবহার করে কৃষি ক্ষেত্রে বিরাট সফলতা নিয়ে এসেছে এদেশের সোনার কৃষক।এদেশের কৃষকই করোনা কালের দুর্ভিক্ষ থেকে দেশকে রক্ষা করে সমৃদ্ধ করেছেন দেশের অর্থনীতিকে।
যতই প্রযুক্তির ব্যবহার হোক, মানুষকে বাঁচতে হলে খেতে হবেই। তাই আধুনিক কৃষি এদেশেকে সমৃদ্ধির অনন্য মাত্রার নিয়ে যাবে। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষিত তরুণদের ব্যপক হারে আধুনিক কৃষি শিক্ষা গ্রহণ এবং কৃষিতে অংশগ্রহণ। সেই সাথে আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ব্যপক ব্যবহার আমাদেরকে শক্তি যোগাবে প্রযুক্তির এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে।
বাংলাদেশের প্রস্তুতি:
জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রতিবেদনে আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতির কথা শুনি এবং রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন দেখছি নিজ চোখে। সাম্প্রতি, মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকে টপকে যাওয়ায় আমরা অনেকেই পুলকিত। একথা সত্য যে, প্রযুক্তির মহাসড়কের নিরাপদ ড্রাইভার হতে বাংলাদেশ সচেষ্ট। দেশের ৬৪টি জেলা ও ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদকে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। সরকারী সেবাসমূহ, বিশেষ করে ভূমি নামজারি, জন্মনিবন্ধন, ভর্তির আবেদন, এন আইডি, ই-টিন, পাসপোর্ট ইত্যাদি ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেয়া হচ্ছে। উদ্যোগ নেয়া হয়েছে হাইটেক পার্ক নির্মাণের। উৎক্ষেপণ হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ দুটি সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে।
এসব কিছু চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার যথেষ্ট কিনা তার বিচার রইল আপনাদের হাতে।
বাংলাদেশের করণীয়ঃ
১। সর্বপ্রথম জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, আইওটি, ব্লকচেইন- এসব প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে।
এসব প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পণ্য সরবরাহ, চিকিৎসা, শিল্প-কারখানা, ব্যাংকিং, কৃষি, শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে কাজ করার পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে হবে।
২। আমাদের অদক্ষ-স্বল্প দক্ষ শ্রমবাজারকে যুগোপযোগী ও কারিগরিভাবে দক্ষ করার মাধ্যমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ গ্রহণ করতে হবে।
৩। ব্যপকভাবে কারিগরী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ নয় বলে এদেশের তরুণরা বেকার থাকছে, অথচ এদেশের ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী বছরে যে রেমিট্যান্স পাঠায় সেই সম পরিমাণ রেমিট্যান্স এদেশে থেকে নিয়ে যাচ্ছে ভারত শ্রীলঙ্কার মাত্র ৩-৪ লক্ষ দক্ষ শ্রমজীবী মানুষ।
সর্বশেষ বলতে চাই, বর্তমান অর্জনে আত্ম তুষ্টিতে না থেকে এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকিগুলো বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশকে নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আবিষ্কার, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল গ্রহণ, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরীসহ একটা টেকসই ও যুগোপযোগী কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষাব্যবস্থার দিকে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে।
করোনার স্কুল কলেজ বন্ধ এ অজুহাতে তরুণদের বসে থাকলে চলবে না। বাসায় বসে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের তাৎপর্য অনুধাবন করে গতানুগতিক চাকরির চিন্তা থেকে বের হয়ে দ্রুত নিজেকে তৈরী করতে হবে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়। কারন তরুণদের হাতেই সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ।
লেখকঃ জি এম কিবরিয়া
প্রধান সমন্বয়ক
ক্লিন গ্রীন বাংলাদেশ