পাকিস্তানের চেয়ে সব সূচকেই এগিয়ে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ২০১৫-১২-২৪ ১০:১৪:৫৬


Hasina
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পৃথিবীতে অর্থনীতিসহ সব সূচকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি উন্নয়নের কিছু সূচকে প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। আর পাকিস্তান সব সূচকেই বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বলেও জনান তিনি।

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ শেষে কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান।

এসময় আগামী মাসে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে ‘প্রত্যয়’ ও ‘স্বাধীনতা’ নামে দুটি যুদ্ধ জাহাজ যোগ হবে বলেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

এরআগে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার সকাল ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) লুৎফুর রহমান জানিয়েছিলেন, নৌবাহিনীর অনুষ্ঠান থেকে দুপুরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালনাধীন চিটাগং ড্রাই ডক ইয়ার্ডকে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে নৌবাহিনীর ঈশা ঘাঁটিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকাল ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে এসে পৌঁছান। সেখানে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির (বিএনএ) প্রশিক্ষণার্থী ক্যাডেটদের সনদপত্র প্রদান ও শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ নেভাল একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুই ব্যাচের মোট ৭৭ জন কমিশনারপ্রাপ্ত ক্যাডেটকে সনদপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এদের মধ্যে ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২১০৪ ব্যাচের ২৪ জন আর মিড শিপমেন্ট অফিসার ২০১৫ ব্যাচের ৫৩ জন সহ মোট ৭৭ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস অডমিরাল এম সৈয়দ হাবিব। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তারা এবং বিদায়ী ক্যাডেটদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

নেভাল একাডেমির অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের খাবার ও যোহরের নামাজ আদায় শেষে প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে পার্শ্ববর্তী চিটাগং ড্রাই ডক ইয়ার্ড-এ এসে পৌঁছবেন। সেখানে বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ইয়ার্ডটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে ড্রাই ডক ইয়ার্ড থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমনকে ঘিরে গত চারদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সানবিডি/ঢাকা/এসএস