ঈদ স্পেশাল “মেহেদি”

আপডেট: ২০১৫-০৯-২১ ১৬:০৬:৩৫


mehediঈদের কেনাকাটা শেষ না হলেও অবশ্যই শেষ দিকে। আর চিন্তা পুরোটা জুড়েই এখন এসে গেছে কীভাবে সাজাবেন নিজেকে, কোন সাজে আরও বেশি সুন্দর লাগবে নিজেকে। আর বাংলার নারীর সৌন্দর্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আছে মেহেদি। তাই আজ উপস্থাপন করছি অনিন্দ্য সুন্দর কিছু মেহেদি ডিজাইন।

জেনে নিন মেহেদি লাগানোর খুঁটিনাটি বিষয়-

আগে অবশ্য মেহেদি পাতা সংগ্রহ করে বেটে তবেই রাঙাতে হতো হাতের তালু। এখন মেহেদি লাগানো অনেকটাই ঝামেলাহীন। মেহেদির টিউব দিয়ে অনায়াসে করে নিতে পারেন মনের মতো নকশা। হাতের পাশাপাশি পা কিংবা বাজুও রাঙ্গিয়ে নিতে পারেন মেহেদির ছোঁয়ায়।

হাতের মাঝখানে আঁকা বৃত্ত আর চারিদিকে গোল করে ফোটা- এই ছিলো এক সময়ের প্রচলিত নকশা। টিউব মেহেদির কল্যানে এখন সূক্ষ্ম কারুকাজ করা নকশাই সবার পছন্দের। তবে কার হাতে কেমন নকশা মানায় সেটা জানা থাকা জরুরী। যাদের হাতের পাতা বড় তারা হাতে ভরাট নকশা করলে দেখতে ভালো দেখাবে। ছোট হাতের একপাশে লম্বালম্বি ডিজাইন মানানসই। হাতের আঙুল যদি ছোট হয় তবে অনামিকা বা মাঝের আঙুলে লম্বা করে নকশা আঁকুন। যাদের হাত লম্বা তারা কিছুটা অংশ ফাঁকা রেখে ভরাট ডিজাইন করতে পারেন। তবে যেহেতু উৎসবের উপলক্ষ্য সেহেতু দু হাত ভরেও করতে পারেন মেহেদির নকশা। কনুই পর্যন্ত নামিয়ে নিতে পারেন নকশাকে। আবার কব্জি থেকে নামিয়ে লাগাম টেনে ধরতে পারেন নকশার।

যারা হালকা ডিজাইন পছন্দ করেন তাদের জন্য নিচের ডিজাইন গুলো দেয়া হলঃ

mehedi 1

mehedi 11

mehedi 1111

mehedi 11111mehedi 111111

mehedi 1111111

পুরো হাত ভর্তি করে মেহেদি দিলে নকশা যেন সূক্ষ্ম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। তালুর মাঝখানে স্পষ্ট গাঢ় নকশাও বেশ ছিমছাম দেখাবে। কলকা,  ফুল,  লতাপাতা ধরনের ডিজাইন করতে পারেন। আবার সুক্ষ্ম ডিজাইনের কিছুটা অংশ ভরাট করে নকশায় বৈচিত্র্য নিয়ে আসা যায়। নকশায় ফিউশন পছন্দ করছেন আজকাল সবাই। মাঝে মাঝে ফাঁকা জায়গা রেখে নকশাকে স্পষ্ট করে তোলা হয় এ ধরণের ডিজাইনে। নখের চারপাশে ভরাট করে মেহেদি দেন অনেকে। সেক্ষেত্রে নখে হালকা রঙের নেইলপলিশ লাগালে ভালো দেখাবে। আপনারা যারা পুরো হাতে মেহেদি দিতে পছন্দ করেন তাদের জন্য নিচের ডিজাইন গুলো-

এবার আসি ছোটদের  কথায়। বাড়ীর ছোটদের আগ্রহ কিন্তু কম নয় তাই এখানে ছোটদের  জন্যেও কিছু ডিজাইন  আছে।

আজকাল মেহেদি কেবল হাতের তালুতেই ঠাঁই পায় না। অনেকে পা কিংবা বাজুতেও মেহেদি লাগাতে ভালোবাসেন। পায়ের পাতার চারপাশে আলতার মতো করে মেহেদির রেখা টেনে দিতে পারেন। কিংবা মাঝামাঝি লতানো ধরনের নকশা করতে পারেন। হাতাকাটা পোশাক পরলে বাজুতেও মেহেদি দিয়ে ছোট্ট করে ডিজাইন এঁকে নিতে পারেন। তবে যেখানেই দেওয়া হোক না কেন মেহেদির নকশায় নিজস্বতার প্রতিফলন থাকা জরুরী।

 টিপসঃ

-মেহেদি লাগানোর আগে হাতে ময়েশ্চারাইজার বা লোশন জাতীয় কিছু লাগাবেন না।

-মেহেদি ওঠানোর পর হাতে তেল ঘষে নিতে পারেন। দীর্ঘস্থায়ী হবে রঙ। এছাড়া লেবুর রস ও চিনির সিরাপ একসঙ্গে মিশিয়ে তুলো দিয়ে নকশার উপর লাগালেও জৌলুস বাড়বে রঙের।

 -সম্ভব হলে মেহেদি তুলে ফেলার পর ৪/৫ ঘণ্টা  হাতে পানি  লাগাবেন না। অতিরিক্ত সাবান, শ্যাম্পু লাগলেও রঙের উজ্জ্বলতা কমে যেতে পারে। তাই কিছুদিন হাত দুটিকে সাবধানে রাখুন।