৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করায় বোর্ড পুনর্গঠনের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-১২-১৩ ২০:৪২:০২


পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়েছেন; সেসব কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী ৪৫ কার্য দিবসের মধ্যে বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে। কোম্পানিতে দু’জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি বেশকিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করতে বলা হয়েছে।

গতকাল রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনাটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর বিএসইসির ৭৫০তম কমিশন সভায় পর্ষদ পুনর্গঠনের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।

কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ অতিরিক্ত দুজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে। যারা ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিষয়টি তদারকি করবে এবং পর্ষদে এক বছর মেয়াদের জন্য থাকবে। তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করবে। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালকরা প্রতি প্রান্তিক শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেবে।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন 

Sunbd Newsক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজ

এ জাতীয় কোম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার নিশ্চিত করতে কমিশনের নির্দেশনা দেয়ার পরবর্তী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইব্রিড সিস্টেমে (সশরীর বা ডিজিটাল) সাধারণ সভার (এজিএম বা ইজিএম) আয়োজন করবে।

নতুন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচনের জন্য সিডিবিএলের পর্ষদ তিন সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ গঠন করা ওই কমিশন শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ সভায় নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করবে।

সিডিবিএল ওই নির্বাচনের জন্য কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করা যোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রদান করবে। একই সঙ্গে ভোটার তালিকা ও প্রয়োজনীয় তথ্য কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ওই তালিকার মধ্য থেকে কোম্পানির পর্ষদ পরিচালক পদে নির্বাচনের জন্য যোগ্য প্রার্থী সুপারিশ করবে।

৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে যদি কোম্পানির পর্ষদ না থাকে বা বিদ্যমান পর্ষদের কোনো সুপারিশ না থাকে, তাহলে সিডিবিএলের সরবরাহ করা তালিকাই পরিচালক পদে নির্বাচনের জন্য সুপারিশকৃত যোগ্য প্রার্থী হবে। এ নির্বাচনের জন্য সিডিবিএল শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অনলাইন/ই-ভোটিং প্লাটফর্ম বা সিস্টেম সরবরাহ করবে। এছাড়া সিডিবিএলের সঙ্গে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে।

অনলাইন/ই-ভোটিং প্লাটফর্ম বা সিস্টেমে পরিচালক নিয়োগ বা সাধারণ সভায় যেকোনো প্রস্তাবিত রেজুলেশনের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ভোট দেয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে কমিশনের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া নিশ্চিত করতে হবে- শেয়ারহোল্ডারের পক্ষে সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ ও ভোটদানের জন্য কোম্পানি হার্ড বা সফট প্রক্সি ফর্ম পাঠানো, সাধারণ সভা চলাকালীন পর্যন্ত ভোট প্রদান সিস্টেম, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ফলাফল সিডিবিএল দ্বারা প্রমাণিত বা সত্যায়িত হতে হবে না। অনুমোদনের জন্য সভা শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে, স্টক এক্সচেঞ্জ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কর্মকর্তা (সর্বনিম্ন সহকারী মহাব্যবস্থাপক পদধারী) নিয়োগ দিতে পারবে, নির্বাচন কমিশন যেকোনো সমস্যা বা বিতর্কের সমাধান করবে এবং বিএসইসি নির্বাচন কমিশনের যেকোনো সিদ্ধান্ত আপিলের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। সবশেষে বিএসইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।