সিরাজগঞ্জে সরিষা চাষের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২০-১২-১৯ ১৭:২৭:২০
সিরাজগঞ্জের মাঠে মাঠে ফুটে আছে হলুদ সরিষা ফুল। যত দূর চোখ যায় হলুদের সমারোহ। এ মৌসুমে জেলার কৃষকরা সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তাদের ধারণা, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও সময়মতো সরিষা ঘরে তুলতে পারলে বিক্রি করে তারা লাভবান হবেন।সেইসাথে এ ফুলের মধু সংগ্রহে মৌমাছির গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
আর এ মধু সংগ্রহ করতে বিভিন্ন স্থান থেকে মৌ খামারীরা এসেছেন এবং সরিষা ফুলের মাঠে বসানো হয়েছে মৌ বাক্স। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে এ লাভজনক সরিষা চাষ করা হয়েছে।
কৃষকরা গত মাসের প্রথম দিক থেকে এ সরিষার বীজ বোপন করে। এসব সরিষার মধ্যে রয়েছে, বারি-১৪, বারি ১৫, বারি ১৭ ও টোরি-৭ । যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ শষ্য ভান্ডার নামে খ্যাত উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ সরিষা চাষাবাদ বেশি করা হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এসব সরিষা কাটা ও মাড়াই করা হবে।
সংশ্লিষ্ট হাট-বাজারে এ নতুন সরিষার দাম ভালো পাওয়া গেলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। এদিকে মাঠে মাঠে এ সরিষা ফুলের সমারোহ ঘটায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারো দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, মাগুড়া, নাটোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মৌ খামারীরা এসেছেন। এসব মৌ খামারীরা উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জে মধু সংগ্রহে কাজও শুরু করেছেন। দিনাজপুরের ভাই ভাই আদর্শ মৌ খামারী মিনারুল ইসলামসহ অনেক খামারী বলছেন, এবার এ অঞ্চলে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মৌ চাষী হুমায়ুন কবির লিটন সাংবাদিকদের জানান, উল্লাপাড়ায় প্রায় ১শ’ মৌ খামার রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা খামার গুলো মিলে প্রায় আড়াই’শ মৌ খামার বসে। এবারেও খামার সংখ্যা আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার উল্লাপাড়াসহ এ অঞ্চলে মৌ খামার গুলো ১৫শ’ থেকে ১৭’শ টন মধু উৎপাদন হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উৎপাদনের পরে এ মধু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হানিফ বলেন, এবার আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে সরিষার আবাবে বাম্পার ফলন হতে পারে। সেইসাথে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সানবিডি/নাজমুল