দেশের বাহিরে প্রথম ‘ডিজিটাল বুথ’ হবে ইউসিবি ক্যাপিটালের
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-১২-২৩ ০৮:৫৬:০৯
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশ গ্রহণ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই জন্য ডিজিটাল বুথ নীতিমালা পাশ করেছে বিএসইসি। এই আইনের বলে দেশের বাহিরে ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পুঁজিবাজার ছড়িয়ে দিতে চায় বিএসইসি।
বিএসইসির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদেশে ডিজিটাল বুথ চালু হলে বিদেশে অবস্থানরত অনেক বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। বিনিয়োগকারী বাড়লে পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়বে। আর লেনদেন বাড়লে পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (ইন্টারমিডিয়ারিজ) আয় বাড়ার পাশাপাশি সক্ষমতা বাড়বে। এতে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের সরাসরি লেনদেনের সুযোগ করে দেওয়া হলে তারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। এক্ষেত্রে ডিজিটাল আউটলেটে প্রবাসী বিনিয়োগকরী অর্থ জমা দিলেই ওইদিনই দেশে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে লেজার হিসাবে তা অন্তর্ভুক্ত হবে। ফলে খুব সহজেই বিনিয়োগকারীরা সরাসরি পুঁজিবাজারে লেনদেন করতে পারবেন।
দেশের বাহিরে প্রথম ডিজিটাল বুথ করতে চায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি দুবাইতে এ ডিজিটাল বুথ চালু হবে। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বুথটি উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
তবে ডিএসই ও সিএসইর সম্মতি নিয়ে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে বিদেশে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের অনুমোদন পাবে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে ইউসিবি ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রহমত পাশা সানবিডিকে বলেন, দুবাইতে আমরা একটি ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য বিএসইসিতে আবেদন করেছি। বিএসইসির অনুমোদন পেলে দুবাইয়ের সকল আইন পরিপালন করে বুথ স্থাপন করা হবে।
গত ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত ডিজিটাল বুথ খোলার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও দেশের বাইরেও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে।
আর বিদেশে বুথ খুলতে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্রোকারকে নন-জুডিশিয়াল ৩০০ টাকার স্টাম্পে অমীমাংসিত দাবি, বৈধ দাবি বা অপরিশোধিত দাবির ক্ষেত্রে তারা এককভাবে দায়বদ্ধ থাকবে বলে লিখিত দিতে হবে। ব্রোকার হাউজের পর্ষদ মনোনীত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা যেকোনো শীর্ষ কর্মকর্তা বা পরিচালকের স্বাক্ষর থাকতে হবে সেই স্টাম্পে।