সসের নামে খাওয়ানো হচ্ছে বিষ!
প্রকাশ: ২০১৫-১২-২৯ ১০:৩৮:৪৪
চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন ছোট বড় হোটেল ও ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে খাবার সুস্বাদু করার নামে খাওয়ানো হচ্ছে বিষ। সিঙ্গারা, পুরি, সমুচা, বারগারসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর স্বাদ বাড়ানোর জন্য নিন্ম মানের সস বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। দোকানিদের দেয়া এসব বিষাক্ত সস মেখে পুরি-সমুচা ও ফাস্ট ফুড খাবার খাচ্ছেন ভোজন রসিকরা। এর ফলে নিজেদের অজান্তেই প্রতিনিয়ত পেটব্যাথা, মাথা ব্যাথা, বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
এসব নিন্ম মানের সস সম্পর্কে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের (আরএমও) ডাঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, নিন্ম মানের সস এক ধরনের বিষ। এর ফলে মানব দেহে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে থাকে। পেটব্যাথা, মাথা ব্যাথা, বমি ও ডাইরিয়াসহ বিভিন্ন রোগ বালাই সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
যাদের গ্যাস্ট্রিক রয়েছে তাদের গ্যাস্ট্রিক আলসার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৮০ ভাগ। আর যদি রংয়ের মাত্রা বেশি হয়, তাহলে ক্যামিকেলের জন্য পার্শ প্রতিক্রিয়াও হতে পারে বলে জানান তিনি।
অনুসন্ধান করে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে ছোট বড় হোটেল ও ফাস্টফুডসহ অনেক খাবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ নিন্ম মানের সস খাওয়ানো হচ্ছে খাদ্য সুস্বাদু করার জন্য। স্থানীয় খাদ্য সামগ্রী বিক্রির প্রতিষ্ঠানে ঘুরে দেখা যায়, যে পাত্র বা বোতলে এ সস্ দেওয়া হয় তা পরিষ্কার না করেই ব্যবহার করা হয়। সস কোথায় পাওয়া যায় জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন হোটেল ব্যবসায়ী জানান, শহরের পালবাজার সালামত স্টোর থেকে ৫ লিটার সস ১শ’ ৭০ টাকা ও ৬ লিটার সস ২শ’ ২০ টাকায় কিনি আনছেন তারা। শহর ও শহরতলীর শত শত খাদ্য সামগ্রী প্রতিষ্ঠান এসব সস কিনে থাকে খাবারের সাথে দেওয়ার জন্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, এ সস স্বাস্থ্য সম্মত কিনা তা জানি না। সবাই খাচ্ছে ও খাওয়াচ্ছে। যার ফলে আমরাও তা খাদ্য সামগ্রী সুস্বাদু করার জন্য ক্রেতাদের দিচ্ছি।
পালবাজারের একজন তরণ হোটেল ব্যবসায়ী রুবেল পাটওয়ারী জানান, কুমিল্লার আশিয়ান ফুড নামক একটি প্রতিষ্ঠান ভ্রাম্যমাণ লোকদের মাধ্যমে প্রতি ৫ লিটারের একটি সস্রে ক্যান্টিন ২শ টাকায় বিক্রি করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত।
সরেজমিনে বিভিন্ন ফাস্টফুড ও হোটেলে ঘুরে দেখা যায় এসব সস্রে গায়ে বিএসটিআই-এর অনুমোদনের কোনো সিল নেই।
এ বিষয়ে জেলা মাকেটিং অফিসার এন এম রেজাউল ইসলাম বলেন, খাদ্যে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর কিছু মেশালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সানবিডি/ঢাকা/ঢাকা টাইমস/এসএস