পুঁজিবাজার থেকে যে পদ্ধতিতে বের হতে পারবে কোম্পানি

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-১২-৩০ ০৭:২৫:৫৮


পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাজার থেকে বের হওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত নির্দেশনাটি মেনে কাজ করতে পারবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ও সংশ্লিষ্ট ইস্যুয়াররা।

শেয়ারবাজারের খবরা-খবরSunbd Newsক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজ

নির্দেশনায় বলায় হয়েছে, ওটিসি প্লাটফর্মের কোম্পানি, মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত কোম্পানি ও এটিবিতে থাকা কোম্পানির শেয়ার কিনে নিয়ে পুঁজিবাজার থেকে চলে যেতে পারবে। তবে ওইসব প্লাটফর্মের সব কোম্পানি চলে যেতে পারবে না। আরও বলা হয়েছে, যেসব সিকিউরিটিজ স্টক এক্সচেঞ্জের মেইন বোর্ড থেকে এরই মধ্যে তালিকাচ্যুত হয়েছে অথবা তালিকাচ্যুত এমন সিকিউরিটিজ যার লেনদেন ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) প্লাটফর্মে চলমান অথবা তালিকাচ্যুত এমন সিকিউরিটিজ যার লেনদেন অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) চলমান অথবা কমিশনের নির্দেশনা পাওয়া সিকিউরিটিজ পুঁজিবাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার (এক্সিট প্ল্যানের) জন্য আবেদন করতে পারবে।

কয়েকটি কারণে পুঁজিবাজার থেকে চলে যেতে পারবে কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে রয়েছে দুই বছরের বেশি সময় বাণিজ্যিক উৎপাদনে না থাকলে, তিন বছর ধরে লোকসানে থাকলে, পরিশোধিত মূলধনের থেকে পূঞ্জীভূত লোকসান বেশি হলে, টানা তিন বছর নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলে, টানা দুই বছর এজিএম করতে ব্যর্থ হলে, ডেবট সিকিউরিটিজের বিপরীতে টানা তিন কিস্তি সুদ বা কূপন বা মুনাফা প্রদানে ব্যর্থ হলে, টানা তিন দফায় নির্দিষ্ট সময়ে ডেট সিকিউরিটিজের সুদ অথবা কুপন অথবা মুনাফা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়া এবং ডেট সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির সময়ে আসল পরিশোধ অথবা অবসায়নে ব্যর্থ হওয়া অথবা টানা দুই দফায় নির্দিষ্ট সময়ে আসলের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়া। অবশ্য উল্লিখিত কারণগুলোর যেকোনো একটি দেখিয়ে আবেদন করা হলেও সেটি গ্রহণ অথবা বাতিলের ক্ষমতা থাকবে বিএসইসির হাতে।

কোনো সিকিউরিটিজের ইস্যুয়ার অর্থ পাচার অথবা সন্ত্রাসে অর্থায়নের মতো কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে অথবা অবৈধ ড্রাগ ব্যবসায় জড়িত থাকলে অথবা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলে কমিশন ওই ইস্যুয়ারের সিকিউরিটিজকে তালিকাচ্যুত করার মাধ্যমে তাকে এক্সিট প্ল্যানের জন্য আবেদনের নির্দেশ দিতে পারবে।

এক্সিট প্ল্যানের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই অফারার একা অথবা কনসার্ট পার্টিসহ আবেদনকারী সিকিউরিটিজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকতে হবে। অফারার হলো আবেদনকারীর একজন উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার অথবা একজন পরিচালক, যিনি এক্সিট প্ল্যানের আওতায় থাকা সিকিউরিটিজ কিনে নেয়ার প্রস্তাব করেন।

কমিশন বরাবর আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদনকারী বা ইস্যুয়ারকে পরিচালনা পর্ষদ অথবা পর্ষদের অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী ও চেয়ারম্যানের যৌথ সিদ্ধান্তের রেজল্যুশন সংগ্রহ করতে হবে এবং এর আধা ঘণ্টার মধ্যেই সেটি মূল্যসংবেদনশীল তথ্য আকারে প্রকাশ করতে হবে।