জেএমআই সিরিঞ্জের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ জানতে কমিটি গঠন

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০১-০১ ২৩:৩২:০৫


পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেডের শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দুই সদস্যের এই কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধিতে ইনসাইডার ট্রেডিংসহ অন্যান্য কারণ খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে কমিশন।

৩১ ডিসেম্বর বিএসইসির উপ পরিচালক অহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, একটানা দর বৃদ্ধির বিষয়টি বিএসইসির নজরে আসায় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির উপ পরিচালক উম্মে সালামাকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য হলেন,সংস্থাটির সহকারী পরিচালক ওয়ারিসুল হাসান রিফাত।

ডিএসই সূত্র মতে, অক্টোবরের ৪ তারিখ থেকে ডিসেম্বর,২০২০ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৫ টাকা বা ৫১ দশমিক ৪১ শতাংশ দর বেড়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার ডিএসইতে ২২৭ টাকায় লেনদেন শেষ হয়েছে।

এদিকে দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই থেকে কোম্পানিতে চিঠে দেওয়া হয়। জবাবে গত ২৭ ডিসেম্বর কোম্পানি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দর বৃদ্ধির পেছনে কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। তথ্য ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ার দর এভাবে বাড়ছে।

এদিকে সর্বশেষ প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ২২ পয়সা। আয় বাড়লেও শেয়ারের দর বাড়ছেই।

এ বিষয়ে কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ তারেক হোসাইন খান সানবিডিকে বলেন, বিএসইসি এমন একটি কমিটি গঠন করেছে বলে আমি শুনেছি। তবে দর বাড়ার পেছনে কোম্পানির কোন গোপন তথ্য নাই। দর বাড়া বা কমার পেছনেও তাদের কোন হাত নেই। যারা এর পেছনে কাজ করেছে তাদরকে ধরতে বিএসইসি এই কমিটি গঠন করেছে।

২০১৩ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ১০ লাখ টাকা। কোম্পানিটি উদ্যোক্তাদের কাছে রয়েছে ৭৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে  ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ২০ হাজার নকল এন-৯৫ মাস্ক আসল দেখিয়ে ১০টি হাসপাতালে সরবরাহ করার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক, সিএমএসডির সাবেক উপপরিচালক ও কক্সবাজার মেডিককেলের তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন খানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

২০১৯-২০২০ হিসাব বছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন

শেয়ারবাজারের খবরা-খবরSunbd Newsক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজ