আব্দুল হকের বালাইনাশক পদ্ধতিতে ফসল চাষে সফলতা
প্রকাশ: ২০১৫-১২-৩০ ১৭:০৬:৩৩
দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নে বালাইনাশক পদ্ধতির চাষে সফলতায় সাড়া ফেলেছে স্থানীয় চাষিদের মাঝে। আর এই বিষয়টিতে যার অবদান তিনি হলেন টাউনশ্রীপুর গ্রামের আব্দুল হক সাহেব। তিনি বর্তমান অবসর প্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা। তিনি দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী হিসাবে কাজ করতেন।
গত ২০০৮ সালে অবসরে আসেন। অনেক অনেক শখ থাকে কিন্তু আব্দুল হকের বেলায় ছিল ব্যাতিক্রম। তিনি পরিকল্পিত পুকুরে মাছ চাষ ও বসতবাড়িতে শাক-সবজি উৎপাদনের ব্যাপক উৎসাহী ছিলেন। তাই বর্তমানে তিনি প্রায় ৪ বিঘা মত জমিতে লাউ চাষ, জমিনে টমেটো, শশা, ওলকপি, ফুলকপি, বাধাকপি, মুলা, লালশাক, কাঁচা ঝাল, ঢেড়স, পটল, করলা, শিম, বিটকপি,কচু, পেঁয়াজ,রশুনসহ বিভিন্ন প্রকার চাষ করেছেন তিনি। তাছাড়া আলাদা ভাবে ২৫ কাঠা জমিতে বেগুনের আবাদ করেছেন তিনি।
এসকল ফসল উৎপাদনের জন্য তিনি কোন প্রকার রাসায়ানিক সার ও কিটনাশক ব্যাবহার করেন না। তিনি পোক-মাকড় দমনে সেক্স ফেরেমন ফাঁদ ব্যাবহার এবং জৈব্য বালাইনাশক নিজে প্রস্তুত করে ব্যাবহার করছেন। সেই সাথে ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যাবহার করেন বেশি। তারসাথে কথা বললে জানান,খুব শিঘ্র তিনি ভার্মি কম্পোষ্ট প্রজেক্ট ব্যাবহার শুরু করবেন। রাসায়নিকে খাদ্য খেয়ে মানুষ দিনে দিনে জটিল ও কঠিন রোগে অক্রান্ত হচ্ছে। তাইতো নিজ পরিবারের পাশাপাশি উপজেলাবাসীকে রাসায়নিক মুক্ত ফসল খাওয়াতে এ উদ্যেগ গ্রহন করেছেন।
গত ৩বছর যাবত এভাবে ফসল উৎপাদন করে আসছেন। তারই খামার থেকে প্রতি মৌসুমে ১ থেকে দেড় লক্ষধীক টাকা পেয়ে থাকেন তিনি। তার উদ্যোগকে আরো তরান্ত্রিত করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহযোগীতা প্রদানের আস্বাস দিয়েছেন। তার কাছ থেকে টাউনশ্রীপুর সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকগন পরামর্শ গ্রহন করছেন। তিনি অন্যান্য সকল কৃষককে মাটির উৎপাদন ক্ষমতা রক্ষায় বেশি বেশি জৈব্য সার ও পোকা মাকড় দমনে বিভিন্ন কৌশাল ব্যাবহারের শিক্ষা দিচ্ছেন।
এ সময় তার পরিবারের বর্ণনা দিয়ে বলেন তার ২ পুত্র,এক কন্যা বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদাস্থ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। তার বড় ছেলে আরিফ-উজ-জামান ভূমি দক্ষল কর্মকর্তা(ইউএলআরও) হিসাবে, ছোট ছেলে আখতার-উজ-জামান বুয়েটর সফ্টর ইঞ্জিনিয়ার এবং কন্যা তামান্না নাসরিন উর্মি রাজশাহি জেলার তানড়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সানবিডি/ঢাকা/মামুন/এসএস