অস্বাভাবিক ইপিএস ও দর উঠা-নামার কারণ জানতে চায় বিএসইসি

:: আপডেট: ২০২১-০১-১৩ ০৮:১০:১৯


# সকল কোম্পানির ৩০ দিনের অস্বাভাবিক দর উঠা-নামার কারণ জানতে চায় বিএসইসি

# ইপিএস এর অস্বাভাবিক পরিবর্তন

# শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন

# পিএসআই প্রকাশের আগে-পরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানির অস্বাভাবিক দরের উঠা-নামা,শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস),লেনদেন ও মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের আগে পরে শেয়ারের অস্বাভাবিক অবস্থা খতিয়ে দেখবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই বিষয়টি কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, গত ১১ জানুয়ারি বিএসইসির উপ পরিচালক মোহাম্মদ শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) এবং দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাদেরকে (সিআরও) দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে চারটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা পরিপালন করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ৪৫ কার্যদিবস। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন 

Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজ

সূত্র মতে, চারটি নির্দেশনার হলো- প্রথমত, পুঁজিবাজারে গত ৩০ কার্যদিবসে যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে বা কমেছে, সেসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন তদন্ত করতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। এসব কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি, ইনসাইডার ট্রেডিং বা অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় হলো- যেসব কোম্পানির প্রান্তিক কিংবা বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বা তার বেশি তারতম্য ঘটেছে, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তৃতীয় হলো- গত এক মাসে যেসব কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন আগের ছয় মাসের তুলনায় পাঁচ গুণ বা তার চেয়ে বেশি বেড়েছে, তাও তদন্ত করতে বলেছে বিএসইসি।

চতুর্থ হলো-এছাড়া কোনো কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের আগের ১০ দিনে শেয়ারের মূল্য ও লেনদেন ৩০ শতাংশ বা তার কম-বেশি বেড়ে থাকলে তাতে কোনো কারসাজি বা ইনসাইডার ট্রেডিং হয়েছে কি না, সেটিও খুঁজে দেখবে স্টক এক্সচেঞ্জ। তবে বিএসইসির নির্দেশনায় সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তের কথা বলা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন ৪৫ কার্যবিসের মধ্যে এসইসিতে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির মূখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম সানবিডিকে বলেন, এই নির্দেশনা সব সময়ের জন্য। এটি কোন একক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়। একটি নির্দেশনা স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়া হয়েছে, তারা সব সময় এই কাজ চালিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন

ওটিসিতে লেনদেন হবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ

মোটর বীমা পরিপালনের নির্দেশনা বিআইএর

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশিদ সানবিডিকে বলেন, বিএসইসির একটি নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। এই নির্দেশনা সব সময়ের জন্য। এটি পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, বিএসইসির এই নির্দেশনা নিয়ে ভয়ের কোন কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ পুঁজিবাজারকে স্থিতিশিল রাখতে প্রতিনিয়ত কাজগুলো করা দরকার। যাতে করে কেউ কোর গোজামিল দিতে না পারে। এতে করে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আরও সুরক্ষিত হবে।