বিশেষ দিনের অপেক্ষায় উল্লাপাড়ার চাষিরা

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০২-১৩ ১০:২৯:৫৪


সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কয়েকটি গ্রাম জুড়ে চোখে পরে নানান রঙের ফুল। গোলাপ, গাঁদা, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা, পাতা বাহার, চেরি, কসমস, বেলি, টগর, বিদেশি গোলাপ, মোরগ জবা, মাছি গোলাপ, জিপসিসহ প্রায় ২০ প্রজাতির ফুল।

পয়লা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সামনে রেখে ফুল ও গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের গুয়াগাঁতী ও বড়হর গ্রামের চাষিরা। মাঠে ফোটা ফুলে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে প্রায় ১১ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করা হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলের ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। সারাবছর বাজারে ফুলের সরবরাহ থাকলেও ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি এলে সারাদেশে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের গুয়াগাঁতী গ্রামের ফুল চাষি বাবলু মিয়া এবার ৪০ শতক জায়গায় ফুলের চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন, এবার এক থেকে দেড় লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিবারের মতো এবারও লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

একটি দেশি গাঁদা ফুল গাছ পাইকারি বিক্রি হয় ১০ টাকা, আর একটি ফুলের পাইকারি দাম সর্বনিম্ন পাঁচ টাকা এবং সর্বোচ্চ দাম ৪০ টাকা। যেখানে প্রতিটি গাছ খুচরা বিক্রি হয় ৩০ টাকা এবং ফুল সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।

চাষি বাবলু মিয়া বলেন, প্রতিবছর এ সময় ফুল শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবারে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফুলের চাহিদা কম। তাই সামনে বিশেষ দিনের অপেক্ষায় আছি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন বলেন, ‘উপজেলায় মোট ৪৬ জন ফুল চাষি রয়েছে। বছরে একবার ফুল এবং চারা বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। তাদের দেখাদেখি এখন অনেকেই ফুল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে নানা ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়।