মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত চান রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০২-১৪ ১৭:১৯:০৭
মাত্র ২৫-৩০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ফের মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট তৈরির সম্ভাবনা দেখছেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের কথা রয়েছে। ওই বৈঠকের এজেন্ডায় রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যার কথা উল্লেখ থাকায় বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন তারা। তাই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট বাদ দিয়ে সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মালিকরা।
আজ রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোটের’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।
এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের প্রতিশ্রুত স্বল্প খরচে বৈধভাবে, সকল বৈধ রিক্রটিং এজেন্সির অংশগ্রহণ ও একটি স্বচ্ছ ও সর্বজনগৃহীত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রত্যাশিত এই বৈঠককে আমরা স্বাগত জানাই। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত হোক— এটাই আমাদের কাম্য। কিন্তু এই এজেন্ডায় উল্লিখিত ১ ও ২ নম্বর বিষয়সহ আলোচ্যসূচিতে কতিপয় অতীব জরুরি বিষয়ের অনুপস্থিতি আমাদের হতবাক করেছে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মোট এক হাজার ৮০০ লাইসেন্সধারী রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে প্রায় এক হাজার ২০০ রিনিউ করা বৈধ এজেন্সিকে বঞ্চিত করে শুধুমাত্র ২৫টি লাইসেন্স নিয়ে নতুন করে সিন্ডিকেট গঠনের নীল নকশার অশুভ প্রক্রিয়া চলছে। যার ইঙ্গিত এক নম্বর এজেন্ডার বিষয়টিতে পাওয়া যায়। যেটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ৯৯ ভাগ রিক্রটিং এজেন্সি বঞ্চিত হবে এবং বাজার শিগগিরই মতো অস্থিতিশীল হবে, যা সরকারের প্রতিশ্রুতি ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা মালয়েশিয়া শ্রমবাজার নিয়ে কোনও সিন্ডিকেট চাই না। স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট নিয়মে স্বল্প খরচে সকল এজেন্সির জন্য কাজের সযোগ নিশ্চিত করে শ্রমিক পাঠাতে চাই।’
সানবিডি/এনজে