কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে আবারও নৌকার জয়

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৩-০১ ১২:৪৩:৫৪


কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)এর মাধ্যমে কেশবপুর পৌর সভা নির্বাচনে আবারও মেয়র নির্বাচিত হলেন নৌকার প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল।

তিনি পেয়েছেন ১১হাজার ৮শ‘৮৮ভোট। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনা করেন।

উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী অফিসার বলেন পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নিকট তম প্রতিদ্বন্দী ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস ২হাজার ৩শ‘১৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।অপর মেয়র প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের মুফতি মাওলানা আব্দুল কাদের হাতপাখা পেয়েছেন ৪শ‘৮৮ ভোট। সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ১,২ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল পদে খাদিজা খাতুন। ৪,৫ও ৬ নম্বর কাউন্সিলর পদে তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির আছিয়া খাতুন। ৭,৮ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন আছমা খাতুন। কেশবপুর পৌর সভার নির্বাচনে ১৩ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে একজন বিএনপির। বাকী সকলেই ছিলেন আওয়ামীলীগের নেতা ও কর্মী।

এ নির্বাচনে সাধারন কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন ১নং ওয়ার্ডে আলীগের আতিয়ার রহমান,২নং ওয়ার্ডে বিএনপির মশিয়ার রহমান,৩নং ওয়ার্ডে আওয়ামীগের কবির হোসেন ৪নং ওয়ার্ডের বিএনপির আবজাল হোসেন বাবু,৫নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের বিশ্বাস শহিদুজ্জামান,৬নং ওয়ার্ডে আলীগের মনোয়ার হোসেন মিন্টু,৭ নং ওয়ার্ডে আলীগের কামাল হোসেন খান,৮নং ওয়ার্ডে বিএনপির আব্দুল হালিম ও ৯নং ওয়ার্ডে আলীগের শেখ এবাদত সিদ্দিক পিপুল। পৌর সভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৭শ ৭৫। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৭১ শতাংশ।

সকাল থেকে ১০টি ভোট কেন্দ্রেই ভোটারের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। সেই সাথে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন ত’ৎপর। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের মোবাইল টীমসহ পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, আনসার প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন ছিলো।

দু একটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও মোটামুটি শান্তিপুর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাহী অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন আরো জানান নির্বাচনে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাব দায়িত্বে ছিলেন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১০ টি ভোট কেন্দ্রের ৬৩ টি কক্ষে ইবিএমে ভোট গ্রহন করা হয়।