স্বাস্থ্যসেবায় পরিবারের অর্থব্যয় কমানো জরুরি: মাহফুজ কবীর

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৩-০১ ১৪:০১:৪৬


প্রতিবছর সরকারের বাজেট বরাদ্দ দারিদ্র্য, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।‘স্বাস্থ্যখাতে আমূল পরিবর্তন করতে চাইলে বাজেটে অর্থবরাদ্দ বাড়িয়ে এ খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। সরকারি সেবার মান উন্নত করে স্বাস্থ্যসেবায় প্রত্যেক পরিবারের অর্থব্যয় কমানোর উদ্যোগ প্রয়োজন।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) একটি অনলাইন সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর এসব কথা বলেন।

করোনা পরবর্তী দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়ে মাহফুজ কবীর বলেন, ‘শিক্ষায় বাজেট জিডিপির ২ শতাংশের চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনাকালে বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে।’

‘করোনার মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসের কারণে টেলিভিশন ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম দারিদ্র্য, প্রান্তিক, দূরবর্তী ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। শহরের শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ অনলাইন শিক্ষার সুবিধা পেলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে কাঙ্ক্ষিত ফল পায়নি।

বিশেষ করে এ সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে যেসব মেয়েরা ঝরে পড়েছে, তাদের আবার শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে হবে। ডিজিটাল ডিভাইসের কারণে শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বঞ্চনার শিকার না হয়, সেজন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের ডিভাইস কেনা ও ইন্টারনেটে ভর্তুকি দিতে হবে। তাহলে তারা করোনা পরবর্তী সময়েও ই-লার্নিংয়ের সুবিধা নিতে পারবে।’

অনুষ্ঠানে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের (এএসডি) নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী বলেন, ‘করোনায় একটা বড় ক্ষতি হলো- অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। অনেকে কাজে চলে গেছে। অনেকের বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে। তাদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়? আবার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অনেক জায়গায় বড় বড় প্রণোদনা দিয়েছেন। বেসরকারিভাবে যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাতেন, যেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সেগুলোর জন্য প্রণোদনার কথা শুনিনি। তাদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়? কারণ তারা তো সমাজকেই সেবা দিচ্ছিলেন। মানুষ উপকৃত হচ্ছিল। কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে তা নিয়ে জরিপ করা প্রয়োজন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আগামী বাজেটের আগেই এগুলো করা দরকার।’

জার্মানির ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) ও ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) অনলাইন সংলাপটির আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম।