প্রতাপনগর ইউনিয়নে আবারও আতঙ্ক
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৩-০৩ ১৩:৪০:৪৫
আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া বাঁধ দীর্ঘ ৯ মাস পর মেরামত করা হলেও আবারও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে।
স্বস্তি নেই এলাকাবাসীর মাঝে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রমে হতাশ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছে এলাকাবাসী। লোকবল দিয়ে বেড়িবাঁধ পূর্ণ সংস্কারের দাবি ভুক্তভোগী স্থানীয়দের।
এদিকে, শনিবার গভীর রাতে প্রতাপনগর হরিষখালির মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে থাকলে বেড়িবাঁধের গা ঘেঁষে বসবাসকারী স্থানীয়দের চিৎকারে সবাই একত্রিত প্রচেষ্টায় বড় ভাঙ্গনের হাত থেকে বাঁধ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। তবে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বেড়িবাঁধ।
কোথাও এক ফুট কোথাও দুই ফুট রাস্তা বেড়িবাঁধ হিসাবে নির্মান করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত স্থানীয় ভুক্তভোগী বানভাসি অসহায় এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমের কাজ করে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, যখনই বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে যায় বা বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন লাগে তখনই জীবন বাজি রেখে বাঁধ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ে উপকূলীয় অঞ্চলের এই বানভাসি মানুষেরা।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের দীর্ঘ ৯ মাসের মাথায় প্রতাপনগর ইউনিয়নের শ্রীপুর, হরিষখালি ও কুড়িকাউনিয়ার ভাঙ্গন পয়েন্ট ক্লোজার চাপানোর মাধ্যমে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবন থেকে রক্ষা পেলেও ইউনিয়নের চাকলা গ্রামের ভাঙ্গন দিয়ে সুভদ্রাকাটি, রুইয়ার বিল, দিঘলার আইট গ্রাম গুলোতে জোয়ার ভাটার স্রোতধারা বয়ে যাচ্ছে।
এই এলাকার অধিকাংশ বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে প্রতাপনগর হরিষখালি, সুভদ্রা কাটি, শ্রীপুর, কুড়িকাউনিয়া, চাকলা ও রুইয়ার বিল আগামী বর্ষা মৌসুমের জোয়ারে এই সমস্ত বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা বিরাজমান।
স্থানীয়রা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের চরম গাফিলতির কারণে আবারো বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।