হল মালিকদের স্বল্প সুদে ঋণ দিতে নীতিমালা প্রকাশ

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৩-০৩ ২২:১৩:৪০


চলচ্চিত্র শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিদ্যমান সিনেমা হলগুলো সংস্কার ও নতুনকরে নির্মাণের জন্য স্বল্প সুদে সিনেমা হল মালিকদের জন্য গঠিত পুন:অর্থায়ন তহবিল থেকে দেয়া ঋণের টাকা সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার (০৩ মার্চ) এমন নির্দেশনা দিয়ে এই পুন:অর্থায়ন তহবিলের জন্য নীতিমালা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস)।

ঋণ পেতে ব্যাংক বরাবর হল মালিকদের আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। নীতিমালায় বলা হয়, ঋণের সদ্বব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা সরেজমিন পরিদর্শনের অঙ্গীকার নামা নিতে হবে।

প্রতি তিন মাস শেষে চতুর্থ মাসের ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাহকের ব্যবসার সর্বশেষ অবস্থা (যেমন-প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিস্থিতি, ব্যবসার আয় পরিস্থিতি ও ঋণ পরিশোধ) সংক্রান্ত প্রতিবেদন ডিওএস এ দাখিল করতে হবে। ঋণ দেয়ার আগে গ্রাহকের সর্বশেষ সিআইবি প্রতিবেদন নিতে হবে।

অর্থাৎ গ্রাহকের আগের কোন ঋণ আছে কিনা কিংবা তিনি ঋণ খেলাপি কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। স্কিম থেকে নেয়া ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড় করার পর, ওই কিস্তির টাকা এক বছর সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

মেয়াদের আগে কোন গ্রাহক সম্পূর্ণ ঋণ আদায় করতে চাইলে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। গ্রেস পিরিয়ডে যে সুদ হবে তা ঋণের সবগুলো কিস্তির সাথে সমভাবে বন্টন করা হবে। সদুসহ ঋণ পরিশোধে ২৮টি কিস্তি পাবেন গ্রাহকরা। বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে যেতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার কোটি টাকা পুন:অর্থায়ন তহবিল গঠন করে একটি সার্কুলার ইস্যু করে।

তাতে বলা হয়, প্রথম ধাপে এই তহবিলের অধীনে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হবে। সুষ্ঠু ভাবে ঋণ বিতরণ ও আদায় হলে পরবর্তী ধাপে বাকি ৫০০ কোটি টাকা দেয়া হবে। একজন গ্রাহক মালিক এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবেন। ঋণের সুদ ধরা হয়েছে, মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৪.৫ শতাংশ।

কোন হল মালিক ঋণের টাকা ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে অতিরিক্ত ২ শতাংশ সুদ আরোপ করা হবে। চলতি মূলধন হিসেবে ঋণের টাকা ব্যবহার করা যাবে না। ঋণের টাকা শুধুমাত্র নতুন সিনেমা হল নির্মাণ, পুরনো সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও সিনেমা হল সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি, মেশিনারি ও প্রযুক্তি আমদানিতে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া যেসব শপিং কমপ্লেক্সে সিনেমা হল রয়েছে সেগুলোও এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা পাবে।