মিয়ানমারে জান্তার আগ্রাসনে একদিনেই ৩৮ মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৩-০৪ ১৫:৫৫:১৬


সেনা অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন দেখলো মিয়ানমার। শুধু বুধবারই নিরাপত্তা বাহিনীর আগ্রাসনে প্রাণ গেছে অন্তত ৩৮ গণতন্ত্রপন্থির।

এক মাস ধরে চলমান সংকট অবসানের জন্য মিয়ানমারকে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর চাপ প্রয়োগের এক দিন পর এ ঘটনা ঘটল। নিহতদের তালিকায় রয়েছে দুই কিশোরও; আহত শতাধিক।

জান্তার ভয়ভীতি উপেক্ষা করে বুধবারও রাজপথে নামেন হাজার-হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীদের অন্ত্যিষ্টিক্রিয়ার পাশাপাশি তারা সেনা বিরোধী শ্লোগান দেন। ছিলো সু চি’সহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির জোরালো দাবি।

এদিকে বিক্ষোভ দমনে টিয়ারগ্যাস-জলকামান ব্যবহারের অজুহাতে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে নিরাপত্তা সদস্যরা। এরফলে অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ৫০ সাধারণ মানুষ।

দি অ্যাসিসটেন্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজোনার্সের তথ্য অনুসারে, ধরপাকড়ের শিকার হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি।

উদ্বেগজনক ঘটনায়, জাতিসংঘ থেকে ধর্মগুরু সবাই হতবাক। ইঙ্গিত- খুব শিগগিরই মিয়ানমারের সেনা সরকারের বিরুদ্ধে আসতে যাচ্ছে আরও কঠোর পদক্ষেপ।

এদিকে মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নেত্রী অং সান সু চিকে মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে জান্তা সরকারকে আহ্বান জানালেও তা ব্যর্থ হয়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। গ্রেপ্তার করা হয় স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে। একাধিক মামলা হয়েছে তাঁদের নামে।