যুক্তরাষ্ট্রে ৩ স্পা সেন্টারে গোলাগুলি নিহত ৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৩-১৭ ১৪:০৩:২৬


যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা শহরে মঙ্গলবার তিনটি পৃথক স্পা সেন্টারে গোলাগুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জন এশীয় নারী রয়েছেন। খবর বিবিসির।

পুলিশ জানায়, আটলান্টার অ্যাকওর্থ শহরের একটি মাসাজ পার্লারে চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আটলান্টার আরও দুটি পার্লারে নিহত হয়েছেন চারজন।

কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনায় ২১ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনিই তিনটি জায়গায় হামলা চালিয়েছেন। তবে কী কারণে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।

স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটার দিকে শেরোকি কাউন্টির অ্যাকওর্থে ইয়ংস এশিয়ান মাসাজ পার্লারে প্রথম গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

শেরিফের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জে বেকার বলেন, ঘটনাস্থলে দু’জন মারা যান এবং তিনজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে আরও দু’জনের মৃত্যু ঘটে। তিনি পরবর্তীকালে নিশ্চিত করেন, নিহতরা হলেন দু’জন এশীয় নারী, একজন শ্বেতাঙ্গ নারী ও একজন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ। এছাড়া একজন হিস্পানিক পুরুষ আহত হয়েছেন।

এর ঘণ্টাখানেকেরও কম সময়ের মধ্যে পুলিশকে জানানো হয়, আটলান্টার উত্তর-পূর্ব দিকের গোল্ড স্পায় ডাকাতি চলছে।

‘উপস্থিত হওয়ার পর কর্মকর্তারা ওই জায়গার ভেতরে গুলিবিদ্ধ তিনজন নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন’, এক বিবৃতিতে জানায় পুলিশ।

সেখানে যখন কর্মকর্তারা ছিলেন তখন রাস্তার কাছেই ‘অ্যারোমাথেরাপি স্পা’ নামে আরেকটি স্পা সেন্টার থেকে তাদের সাহায্যের জন্য ডাকা হয়। সেখানে পুলিশ আরেকজন নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখেন।

তদন্তকারীরা সিসিটিভি ফুটেজে স্পার কাছাকাছি এক সন্দেহভাজনকে দেখতে পান। পুলিশ জানায়, অভিযান চালিয়ে ক্রিস্প কাউন্টি থেকে রবার্ট আরন লং নামে এক ব্যক্তিকে তারা গ্রেফতার করেছেন।

ক্যাপ্টেন বেকার বলেন, তদন্তকারীদের জোরালো ধারণা, এই একই ব্যক্তি তিন জায়গায় গোলাগুলির জন্য দায়ী।

যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি এশীয়-আমেরিকানদের ওপর ঘৃণাজনিত হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এশীয় লোকজন করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী এমন অভিযোগ এনে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে।
‘এশীয়-আমেরিকানদের ওপর হামলা, হেনস্তা, দায় চাপানো ও তাদের বলির পাঠা বানিয়ে যেসব ঘৃণাজনিত অপরাধ’ হচ্ছে, গত সপ্তাহে তার নিন্দা জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

তবে আটলান্টার ঘটনায় কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হতাহতরা তাদের জাতীয়তা অথবা বর্ণের কারণে হামলার শিকার হয়েছেন কিনা তা এখনো বলা যাচ্ছে না।