নতুন পরিচালকের সংজ্ঞা স্পষ্ট করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০৪-০৪ ২১:০১:৩১


নীতিমালায় নতুন পরিচালক এর সংজ্ঞা স্পষ্ট না থাকায় নিজেদের মত করে ব্যাখ্যা দিয়ে পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নেয়নি কয়েকটি ব্যাংক।

বিষয়টি নজরে আসায় রবিবার সার্কুলার ইস্যু করে নতুন পরিচালক এর সংজ্ঞা স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন এন্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট (বিআরপিডি)।

এতে বলা হয়, নতুন পরিচালক বলতে ব্যাংকের পর্ষদ সভায় মনোনীত এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচিত বা পুন:নির্বাচিত সকল পরিচালককে বুঝানো হবে।

এক্ষেত্রে প্রত্যেক পুন:নিযুক্তি একটি নতুন নিযুক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং নতুন পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বানুমোদন বাধ্যতামূলক।

২০১৭ সালে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনে, একই পরিবার থেকে দুইজনের পরিবর্তে চারজন পরিচালক হওয়ার সুবিধা দেয়া হয়। সেই সাথে এক পরিচালকের মেয়াদ পরপর দুই মেয়াদে ৬ বছরের পরিবর্তে পরপর তিন মেয়াদে ৯ বছর করা হয়েছিল।

মেয়াদ শেষ হওয়ার পর একই পরিচালক আবার পুন:নিয়োগ বা পুন:নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের পুন:নিযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক ব্যাংক নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিচ্ছে না। রবিবারের নির্দেশনার মাধ্যমে এই বিষয়টিই স্পষ্ট করে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, পরিচালক পুন:নিযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিচ্ছে না। ব্যাখ্যা হিসেবে ব্যাংকগুলো জানায়, যেহেতু আগের ব্যক্তিই পুনরায় নিয়োগ পাচ্ছেন এক্ষেত্রে নতুন করে অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন নেই।

এটি ব্যাংক পরিচালক নিয়োগের নীতিমালার উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করছিল উল্লেখ করে, প্রতিটি পুন:নিযুক্ত পরিচালককে নতুন পরিচালক হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নিতে হবে বলে তিনি জানান।

নতুন পরিচালক নিয়োগের নীতিমালায় বলা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নেয়ার ক্ষেত্রে পরিচালক নিযুক্তির জন্য মনোনীত প্রার্থীর তথ্যাবলী, তার ঘোষণাপত্র, তার গোপনীয়তা রক্ষার ঘোষণাপত্র, স্বতন্ত্র পরিচালক হলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদনপত্র এবং তার ক্ষেত্রেও ঘোষণাপত্র দিতে হবে।

এছাড়া ঋণ খেলাপি যাতে কেউ পরিচালক হতে না পারে সে জন্য পরিচালক হিসেবে মনোনীত ব্যক্তির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা ঋণ সংক্রান্ত সিআইবি (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো) প্রতিবেদন দিতে হয়। এর বাইরে বর্তমানে নিয়োগ পাওয়া পরিচালকদের তালিকাও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে দিতে হয়।