২৪ ঘন্টা মাঠে থাকতে চায় ফুড ডেলিভারি কোম্পানিগুলো

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৪-১২ ১৫:৫১:৫৬


লকডাউনে ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালু রাখতে চায় পাঠাও ফুডসহ অন্যান্য ফুড ডেলিভারি কোম্পানিগুলো। রোববার (১১ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দা‌বি জা‌নি‌য়ে‌ছে তারা।

এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে আবারও কঠোর লকডাউন জারির কথা জানিয়েছে সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভোক্তাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে সংক্রমণ রোধে ভূমিকা রাখতে, ই-কমার্স, ফুড ডেলিভারি কোম্পানি ও হোটেল-রেস্তোরাঁ, গ্রোসারি শপগুলোর নিজস্ব ডেলিভারি কার্যক্রম সার্বক্ষণিক অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার আবেদন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে ফুড ডেলিভারি সেবাদাতা কোম্পানিগুলো।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পাঠাও ফুডসহ অন্যান্য ফুড ডেলিভারি কোম্পানি, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ডেলিভারি কর্মীরা মহামারিকালে মানুষের ঘরে ঘরে পণ্য পৌঁছে দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন।

তাদের সম্মিলিত এই প্রচেষ্টা করোনার বিস্তার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সম্ভাব্য সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের ফলে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা ও আসন্ন মাহে রমজানে বিক্রি কমে গিয়ে এই খাতে সংশ্লিষ্টরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এমন পরিস্থিতিতে, জরুরি সেবা হিসেবে হোটেল-রেস্তোরাঁ, গ্রোসারি শপ, ইত্যাদির নিজস্ব বা ই-কমার্স বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডেলিভারি ব্যবস্থা সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের আওতামুক্ত ঘোষণা করা হোক। এ জন্য টেকওয়েভিত্তিতে হোটেল-রেস্তোরাঁ, মুদিপণ্য বা গ্রোসারি শপ, পণ্যের গুদাম বা ওয়্যারহাউজ ইত্যাদি খোলা রেখে হোম ডেলিভারির করার ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশ প্রয়োজন।

এছাড়া, সরকার নির্দেশিত ‘ফুড ও গ্রোসারি’ হোম ডেলিভারি সার্ভিস এসওপি- অনুসরণ ও ডেলিভারি কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে।

এতে আরও বলা হয়, জরুরি সেবাদান কাজে নিয়োজিত হোটেল-রেস্তোরাঁ ইত্যাদির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অনলাইন কর্মীদের করোনার সম্মুখসারির কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হোক ও তাদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য একান্ত কাম্য।

হোটেল-রেস্তোঁরা ও সংশ্লিষ্ট খাতকে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান এবং লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নআয়ের ও দৈনিক মজুরি নির্ভর কর্মচারী ও অনলাইন ডেলিভারি কর্মীদের খাবার ও অর্থ সহায়তারও দাবি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।