১৭ বছরে পদার্পণ করল ফিফোটেক
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২১-০৪-১৫ ১৫:৩২:১৪
দেশের খুবই পরিচিত আন্তর্জাতিক মানের বিপিও প্রতিষ্ঠান ফিফোটেক ১৭ বছরের পদার্পণ করেছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির অনানুষ্ঠানিক বয়স ১৯ বছর।
২০০৪ সালে মাত্র পাঁচজন লোক নিয়ে যাত্রা শুরু হয় তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক বিপিও প্রতিষ্ঠান ফিফোটেক এর। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ২৫ টি দেশের ৭টার বেশি ভাষা নিয়ে চলছে এই প্রতিষ্ঠানটি কর্মযজ্ঞ। ভারত, দুবাই, ইউরোপ,আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানের বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে যাচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তৌহিদ হোসেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ কল সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৪০০ অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বর্তমানে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে সুবিশাল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ অফিস থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দেশী-বিদেশী প্রায় ৩০০র অধিক প্রতিষ্ঠানের। পাশাপাশি সম্প্রতি দুবাইতে প্রতিষ্ঠানটির অফিস থেকে কাস্টমারদের সেবা দেয়া হচ্ছে সুদক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল নিয়ে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং এর পাশাপাশি ডাটা মাইনিং, ডাটা ম্যানেজমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি সহ নানান ধরনের প্রযুক্তিগত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দেশের এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ফিফোটেক।
১৩ই এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে করোনাকালীন মহামারীর কারণে এবারের ২০২১ সালের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তৌহিদ হোসেন।
তিনি জানান, আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে না পারলেও আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সারা বিশ্বের আমাদের কাস্টমারদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রতিষ্ঠানটিকে ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি পাশাপাশি দেশের তরুণ সমাজকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন এই মহা দুর্যোগের মধ্যেও আমরা কোন কর্মী ছাঁটাই করি নাই এমনকি বেতন ও কমানো হয় নাই। বিপিও সেক্টরে গ্লোবাল মার্কেট সাইজ ৯২ বিলিয়ন ডলারেরও অধিক মার্কেট রয়েছে।
ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশের বিপিও সেক্টরের মার্কেট সাইজও। আমরা বিপিও সেক্টরের এই বাজারে নিজেদের আরো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে দক্ষ জনবল ও প্রতিষ্ঠানকে নতুন নতুন প্রযুক্তির সমন্বয়ে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি।