হুমকির মুখে সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০৪-১৮ ১৫:১২:২৯
সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি ও এনায়েতপুরের তাঁতপল্লীগুলোর ব্যস্ততা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের মূল্যবৃদ্ধিতে।এই এলাকার তাঁতশিল্পীরা সুতা, রঙ ও রাসায়নিকের মূল্যবৃদ্ধিতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ অবস্থায় শিল্পীদের বুননের খটখট শব্দ যেন হারিয়ে যেতে বসেছে অনেকটাই।
এ ব্যাপারে স্থানীয় তাঁতিরা বলছেন, সুতার মূল্য গত তিন মাসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি হলেও বাড়েনি উৎপাদিত কাপড়ের দাম। ফলে পুঁজি হারিয়ে অনেকটা সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন তাঁত শিল্পীরা। এদিকে সুতার মূল্যবৃদ্ধির জন্য কাঁচামাল হিসেবে তুলার মূল্যবৃদ্ধির কথা বলছেন মিল মালিকরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে পাউন্ডপ্রতি তুলার দাম ২০-৩০ টাকা বাড়লেও মিল মালিকরা পাউন্ডপ্রতি তুলার দাম বাড়িয়েছেন ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া রঙ ও রাসায়নিকের দামও বেড়েছে কয়েক গুণ। তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন মাস আগে যে কাপড় তৈরি করতে খরচ পড়ত ৩০০ টাকা, সে কাপড় তৈরিতে বর্তমানে খরচ পড়ছে ৬০০ টাকার কাছাকাছি। তবে উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে দাম বৃদ্ধি পায়নি। ফলে তাঁত শিল্পীরা নতুন তাঁত বুনতে যথেষ্ট পুঁজি সংগ্রহ করতে পারছেন না। মালিকরাও বাধ্য হচ্ছেন তাঁত কারখানা বন্ধ করে দিতে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও এনায়েতপুর এলাকায় দুই লাখেরও বেশি তাঁত শ্রমিক কাজ করেন। পুঁজির অভাবে কারখানা বন্ধ হয়ে পড়লে বিপাকে পড়বেন এসব শ্রমিকও।
সানবিডি/এনজে