করোনায় ব্যাংক কর্মকর্তা মৃত্যু বরণ করলে পাবে ৫০ লাখ টাকা
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০৪-১৯ ২০:৫৯:২৯
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে বাংলাদেশে। প্রথমবারের মতো এবারও এই মহামারি থেকে বাঁচাতে কঠোর অবস্থানে সরকার। শুরু হয়েছে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন। তবে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজন ব্যাংকিং সুবিধা। এরই আলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে চালু রাখা হয়েছে ব্যাংকের কার্যক্রম।
ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি মৃত্যু বরণ করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডির) মহাব্যবস্থাপক নজরুল ইসলামের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্য বরণ করলে তার পরিবারকে দিতে হবে সর্বনিম্ম ২৫ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকি বিবেচনায় এবং দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ ক্ষতিপূরণ প্রদানের এই নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নির্দেশনাটি ২০২০ সালের ১৯ মার্চ সরকার কর্তৃক ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় থেকে পরবর্তি নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা/সিনিয়র অফিসার/ প্রবেশনারী অফিসার/ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার/ সমমান হতে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ ৫০ লাখ টাকা পাবেন।
এছাড়া ট্রেইনি এসিস্ট্যান্ট অফিসার/ সমমান হতে ধাপ-১ এর পূর্ব পর্যন্ত পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ পাবেন ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্টাফ ও সাব-স্টাফরা পাবেন ২৫ লাখ টাকা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে এই প্রাদুর্ভাবের কারণে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনাকাঙ্খিত মৃত্যু হলে ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে ওই কর্মকর্তার স্ত্রী/স্বামী/সন্তান এবং অবিবাহিত হলে বাবা-মায়ের কাছে টাকা তুলে দিতে হবে।
করোনাকালীন মৃত্যুবরণ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা তার অন্য কোন দায়-দেনার কোন টাকা ওই ক্ষতিপূরণের টাকার সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে না। এ ক্ষতিপূরণ বর্ণিত কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তার অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।