আগামীকাল থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নিয়মিত

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০৪-২১ ১৩:০০:০৫


আজ বুধবার সৌদি এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপক জাহিদুল আবেদীন জানান, গত ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সব সৌদি প্রবাসী যাত্রীদের টিকিট হালনাগাদ করা হয়েছে। টিকিট দেওয়া শেষ হলেই ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সবার সৌদিতে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন হবে। আগামীকাল ২২ এপ্রিল থেকে যাদের যেই দিনে যাওয়ার টিকিট, তারা নিয়মিত ফ্লাইটে যেতে পারবেন।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে ছুটি কাটিয়ে দেশ থেকে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সৌদি প্রবাসীদের। লকডাউনের কারণে সৌদি এয়ার লাইন্সসহ সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভিসা ও টিকিটের মেয়াদ শেষ হয়ে আসলে প্রবাসী যাত্রীরা রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সৌদি এয়ার লাইন্সের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এরপর গত ১৭ এপ্রিল থেকে সৌদিতে ফিরে যাওয়ার জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে সৌদি এয়ার লাইন্স কর্তৃপক্ষ।

সেই অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল থেকে যাদের টিকিট ছিল, তাদের ক্রমান্বয়ে ফিরে যাওয়ার টিকিট দেওয়া শুরু করে সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকাল থেকেই সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিসের সামনে টিকিট নেওয়ার জন্য ভিড় করেন কয়েক শত প্রবাসী যাত্রী।

তীব্র গরমের মধ্যেও ভোর থেকেই রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও হোটেলের সামনে যাত্রীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন টিকিটের জন্য। এ সময় যাত্রীদের মধ‌্যে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। সবার মুখেই মাস্ক থাকলেও তা যথাযথভাবে লাগানো ছিলো না।

সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিস যথারীতি সকাল ১০টায় খুলেছে। দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে যাত্রীদের টোকেন ও টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। ২১ এপ্রিল পর্যন্ত যাদের টিকিট করা ছিল, তাদের সবাই আজকে টিকিট পাবেন বলে জানালেন সৌদী এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপক জাহিদুল আবেদীন। তিনি আরও জানান, এর মধ্যেও ১৪, ১৫, ১৬ তারিখের কিছু যাত্রী আজ এসেছেন টিকিট নিশ্চিত করতে। তাদেরকেও বিভিন্ন তারিখের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, বিভিন্ন তারিখের টিকিট থাকার পরও সঠিক সময়ে না জানার কারণে অনেকে আসতে পারেননি। আজ এরকম কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বেশিরভাগই ফিরে যাওয়ার টিকিট পেয়েছেন। বাকীরাও আজ টিকিট পেয়ে যাবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ফেনীর পেয়ার আহমেদ, কুমিল্লার মহসিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জের আল আমিন, গাজীপুরের বজলুর রহমান, চাঁদপুরের মনির হোসেন, হবিগঞ্জের রাজু খান, লক্ষ্ণীপুরের ফরহাদ উদ্দিন। তারা টিকিট নিয়ে হাসি মুখে ফিরে যাচ্ছেন।

সানবিডি/ এমএইচআর