ভোলায় ১ সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ডায়রিয়া রোগী
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৪-২২ ০৯:৫০:০৩
ভোলায় হঠাৎ করে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়ে অধিক ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হওয়ায় বেড পাচ্ছেন না অনেক রোগী। ফলে মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন শত শত রোগী।
রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, ফ্যান না থাকায় প্রচণ্ড গরমে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে কষ্ট পাচ্ছেন তারা। আবার ঠিকমতো ডাক্তার ও নার্সও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের।
ভোলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোলা সদর হাসপাতালে ১০৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
জানা গেছে, ভোলায় হঠাৎ করে ডায়রিয়া বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ রোগী সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে শিশুসহ সকল বয়সী নারী-পুরষ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোলা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। তবে দেখা দেয়নি ডায়রিয়া, স্যালাইন ও ওষুধের সংকট।
অন্যদিকে রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিলেও ফ্যান না থাকায় গরমে কষ্ট পাচ্ছেন তারা। এছাড়াও সময়মতো ডাক্তার ও নার্স পাচ্ছেন না।
মো. শাহীন, রিয়াজ উদ্দিন নয়ন, আলতাফ হোসেন ও জান্নাত বেগমসহ একাধিক রোগীর স্বজনরা জানান, ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ায় আমারা আমাদের পরিবারের সদস্যদের ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখানে বেড না থাকায় বাধ্য হয়ে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি। কিন্তু এই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ফ্যান না থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে কষ্ট হচ্ছে আমাদের রোগীদের।
ভোলা সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বেড সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ও বিশুদ্ধ পানি পান না করার ফলে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ডায়রিয়ার স্যালাইন ও ওষুধ পর্যাপ্ত রয়েছে। ডায়রিয়া সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন।