ন্যাশনাল ব্যাংকে এমডি হচ্ছেন আব্দুল বারী

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০৪-২৬ ১৯:২৩:০৪


পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে শাহ সৈয়দ আব্দুল বারীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪৪৫তম বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তটি অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। ব্যাংকসূত্রে এ তথ্যটি জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট জানা গেছে, আজ সোমবার বিকালে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদারের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যাংকের অন্য পরিচালকরা অংশ নেন।

সভায় এমডি নিয়োগের নির্ধারিত এজেন্ডা অনুযায়ী আলোচনা শুরু হলে সবার সম্মতিতে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর এটি অনুমোদনের জন্য আজই বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি পদ শূন্যতার তিন মাস শেষ হচ্ছে আগামী বুধবার (২৮ এপ্রিল)। তার আগেই এই পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় নাম পাঠালো ব্যাংকটি।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী পদ শূন্য হওয়ার তিন মাসের মধ্যে এমডি নিয়োগ দিতে হয়। অন্যথায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে এমন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট সময়ের আগে এমডি নিয়োগের একমাত্র এজেন্ডা নিয়ে আজ বিকেলে ভার্চুয়ালে জরুরি বোর্ড সভা ডাকেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান।

শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮৪ সালে এবি ব্যাংকে যোগদানের মাধ্যমে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দীর্ঘ কর্মজীবনের ১২ বছর শাখা ব্যাংকিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়া ক্যামিলকোর দায়িত্ব পালন, এইচআরডি ও ইন্টার্নাল কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টের প্রধান ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০১৫ সালে এসইভিপি পদে ন্যাশনাল ব্যাংকে যোগদান করেন। সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ২০১৬ সালে তাকে ডিএমডি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ব্যাংক দেশের ব্যাংকিং খাতে অন্যতম বড় মূলধন ও সম্পদে শক্তিশালী। ব্যাংকের বর্তমানে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে। এবং ঋণের পরিমাণ রয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা। সারা দেশে ২১৩টি শাখার মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকটি।