রাজশাহীতে ডিমের দাম কমায় ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ী-খামারিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৫-০১ ১১:১৪:১১
রাজশাহীতে হঠাৎ করেই সব ধরনের ডিমের মূল্য কমেছে হালি প্রতি ৪-১০ টাকা পর্যন্ত। ফলে বেশি দামে কিনে রাখা ডিম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরা।
শনিবার (১ মে) মাসের শুরুতেই রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিমের দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও নেই ক্রেতা। এতে অতিরিক্ত গরমে ডিম নষ্ট হবার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ডিম বিক্রেতারা জানান, বাজারে সাদা ডিমের দাম কমে ২২ টাকা হালি হয়েছে। এছাড়াও কমেছে লাল ডিমসহ দেশি মুরগী ও হাঁসের ডিমের দাম।
এ সপ্তাহে ছয় টাকা কমে লাল ডিমের হালি হয়েছে ২৬ টাকা। তবে কোয়েলের ডিম হালি প্রতি দুই টাকা কমে হয়েছে ১০ টাকা।
এদিকে দেশি মুরগীর ডিমের দাম কমেছে পাঁচ টাকা করে। কিছুদিন আগেও ৫৫ টাকা হালি হলেও এখন ৫০ টাকা হালিতে কিনেতে পারছেন ক্রেতারা।
দাম কমেছে হাঁসের ডিমেরও। হালি প্রতি ১২ টাকা কমে দাম হয়েছে ৪০ টাকা।
নগরীর সাহেব বাজারের ডিম ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এখন ডিমের দাম অনেক কম। তারপরও মানুষ ডিম কিনছে না। শহরের বিভিন্ন মেস বন্ধ থাকার কারণে ডিমের চাহিদা কমে গেছে। তাই ডিম নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি গোদাগাড়ী থেকে ডিম নিয়ে আসি। দুই ভ্যানে এক হাজার করে ডিম থাকতো। একদিনেই এগুলো বিক্রি হয়ে যেত। কোনোদিন অবশ্য দুইদিন লাগতো বিক্রি হতে। তবে এখন ডিম ১৫ দিনেও শেষ হচ্ছে না।’
ডিমের চাহিদা কমার কারণ হিসেবে খামারিরা দুষছেন করোনাকালীন লকডাউনকে। নগরীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী ও খামারীদের ভাষ্য, ‘শুধু মেসই নয়, নগরীর বিভিন্ন খাবার হোটেল ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন হাজার হাজার ডিম বিক্রি হতো। এখন হয় না লকডাউনের কারণে। লকডাউনের পর থেকে ডিমের চাহিদা একেবারেই শূন্যে নেমে গেছে।’