১০% এর বেশি বাড়বে না নতুন শেয়ারের দর

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০৫-০৭ ১৯:২২:৩৮


পুঁজিবাজারের স্থিতিশিলতায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। এখন থেকে তালিকাভুক্ত নতুন শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই ১০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। আজ ৬মে বিএসইসি এই সংক্রান্ত একটি সাক্যুলার ইস্যু করেছে।

বিএসইসি সূত্র মতে, বর্তমানে কোম্পানির দর বেধে ১০ শতাংশ পর্যন্ত দর বাড়ে। তবে নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে পর পর দুই দিন ৫০ শতাংশ করে দর বাড়তে পারতো। এই সাক্যুলারের মাধ্যমে নরমাল নিয়মেই নতুন শেয়ারের দর বাড়বে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, এখন থেকে নতুন শেয়ারও নরমাল নিয়মে বাড়বে। প্রথম দুই দিন আর ৫০ শতাংশ করে বাড়বে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিয়মে চলবে।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন 

Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজশেয়ারবাজারের খবরা-খবর

এর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে নতুন শেয়ারে প্রথম দুই দিন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ার সুযোগ রেখেছিল কমিশন। এ হিসাবে ফিক্সড প্রাইজ পদ্ধতিতে আইপিওতে আসা একটি কোম্পানির শেয়ার দাম লেনদেনের প্রথমদিন সর্বোচ্চ ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারত। এরপরে দ্বিতীয় দিন ওই ১৫ টাকার উপরে আরও ৫০ শতাংশ বা ৭.৫০ টাকা বাড়ার সুযোগ ছিল।

ওই ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার আরোপের আগে লেনদেনের প্রথম দুই দিন কোন সার্কিট ব্রেকার ছিল না।

কোন শেয়ারের কত শতাংশ দর বাড়তে পারে

গত ১৪ নভেম্বর ২০১৯ সালের বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার দর ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত যেসব কোম্পানির শেয়ার দর সেগুলো ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত যেসব কোম্পানির শেয়ার দর সেগুলো সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারবে।

১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর সেগুলো ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত যেসব কোম্পানির শেয়ার দর সেগুলো ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ টাকার উপরে কোম্পানির শেয়ার দরের কোম্পানিগুলো দিনে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বাড়ার সুযোগ দেয়া হয়।