বাজেটে খাদ্যশস্য সংগ্রহে বরাদ্দ বাড়ছে ৬৪ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৫-১৬ ১৬:১৭:০৩
আসন্ন ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাজেটে খাদ্যশস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে রেকর্ড ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। ৩ জুলাই জাতীয় সংসদে ঘোষিত হতে যাচ্ছে আগামী অর্থবছরের বাজেট। বাজেটে মহামারি করোনাসহ নেতিবাচক নানা প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকার খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ ৬৪ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করে ৮ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা রাখার পরিকল্পনা করছে।
সম্প্রতি সরকারের খাদ্য, পরিকল্পনা ও অর্থ বিভাগের এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ২০২১-২২ অর্থবছরে খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য ওই বরাদ্দের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে, সরকার খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য আগামী অর্থবছরে ৮ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা রাখার পরিকল্পনা করছে। ওই বরাদ্দের হার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দের তুলনায় ৬৪.২১ শতাংশ। যেখানে চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। যদিও বাজেট ঘোষণায় খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে সেই বরাদ্দ কমানো হয়।
মহামারি করোনা আক্রান্তের দ্বিতীয় বছরে খাদ্যশস্যের নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করতে সরকার চাল ও গম আমদানি করতে বাধ্য হয়। চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত খাদ্যশস্যের মজুদ ছিল পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার টন। যার মধ্যে ৩ লাখ টন চাল ও ২ লাখ ৪৭ হাজার টন গম ছিল।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরে চালের দাম ২৬ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সরকার চালের ওপর প্রযোজ্য শুল্ক ৬২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে।
চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকে সরকার ৬ লাখ টন ধান এবং সাড়ে ১১ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে কেজিপ্রতি ২৭ টাকা দরে ধান কিনবে কৃষকের কাছ থেকে, আর কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দামে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৮ টাকা দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল কিনবে চালকল মালিকদের কাছ থেকে। গত ২৬ এপ্রিল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বোরো ধান-চাল সংগ্রহের এ লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে চলতি বোরো মৌসুমে সরকারের চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ৫ লাখ টন নির্ধারণ করে। গত বছর বোরো চালের উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৯৪ লাখ টন।
সানবিডি/এএ