খাদ্য চেয়ে ৩৩৩-এ ফোন ৪তলা বাড়ি মালিকের, দিলেন চড়া মূল্য
জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২১-০৫-২১ ১৭:২৫:৩৮
কৌতূহলবশত খাদ্য সহায়তার জন্য জরুরি নম্বর ‘৩৩৩’-এ ফোন দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা কাশিপুর এলাকার চারতলা বিশিষ্ট এক বাড়ির মালিক। ফোন পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তরা। কিন্তু দেখা গেল, সহায়তা চাওয়া ওই ব্যক্তি একটি কারখানার মালিক। ফতুল্লার কাশিপুরে একটি চারতলা বাড়িও রয়েছে তার।
জরুরি সেবার নম্বরে ফোন করে সরকারের লোকজনকে এভাবে ‘হয়রানি’ করায় ফরিদ আহমেদ নামের ওই ব্যবসায়ীকে বৃহস্পতিবার শাস্তি দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই শাস্তি হলো, ১০০ গরিব পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা দিতে হবে ওই ব্যবসায়ীকে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য প্যাকেটে থাকবে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি তেল, এক কেজি লবণ, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি আলু ও মশলা। সব মিলিয়ে দেড় হাজার কেজির বেশি খাদ্যসামগ্রী এখন গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে ফরিদ আহমেদকে। তার দাবি, তিনি ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেছিলেন ‘কৌতূহল মেটাতে’।
শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা জানান, মহামারী আর লকডাউনে অনেক গরিব ও নিম্নআয়ের পরিবার কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও বিপাকে পড়েছে। ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে তাদের বাড়িতে উপজেলা প্রশাসন জরুরি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়। ‘ফরিদ আহমেদের ফোন পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে খাদ্যসহায়তা নিয়ে আমি নিজেই গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ফরিদ আহমেদ চারতলা বাড়ির মালিক। জানতে পারি তার ‘হোসিয়ারি’ কারখানা রয়েছে। ফরিদ তা স্বীকারও করেন।’
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফরিদ ১০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবেন। ইউএনও আরিফ জহুরা আরো বলেন, তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বিষয়টি তদারক করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘৩৩৩ নম্বরের হটলাইন থেকে সাড়া পাওয়া যায় কি না তা দেখার জন্য ফোন করেছিলাম। তবে এমন কাজ করা আমার ভুল হয়েছে।’
সানবিডি/এএ