স্থলপথে ভারত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল ৩১ মে পর্যন্ত

উপজেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৫-২২ ১৮:৩৪:২২


করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সংক্রমণ রোধে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত বন্ধে তৃতীয় ধাপে ৮ দিন সীমান্ত পথে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। ২৩ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকছে।

এর আগে প্রথম ধাপে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে ৯ থেকে ২৩ মে এবং তৃতীয় ধাপে ২৩ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

তবে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অবস্থান করছিল সে সব যাত্রীরা দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ভারতের ২৪ পরগনা জেলায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকার ১৫ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ১৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এতে নানান প্রতিবন্ধকতায় যশোরের বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভারত-বাংলাদেশের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু করোনার কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বন্ধ হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানান প্রতিবন্ধকতায় বাণিজ্য কমে আসছে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কার্তিক চন্দ্র বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় ১৫ দিনের লকডাউন চলছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ট্রেন-বাস, অফিস বন্ধ রয়েছে। ফলে পণ্য সরবরাহ কমায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বিঘ্ন হচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, ভারতের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনায় বন্দরে আমদানি-রফতানি সচল রয়েছে। তবে পরিমাণের দিক দিয়ে বাণিজ্য কমেছে।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন সাড়ে ৪শ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি এবং ১৫০ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি হতো। বর্তমানে বাণিজ্যের পরিমাণ কমেছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, নতুন করে ৩১ মে পর্যন্ত ৮ দিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে যাদের দূতাবাসের ছাড়পত্র থাকবে তাদের যাতায়াতে বাধা নেই। ২১ মে ভারত থেকে ফিরেছেন ৮৭ জন। ফেরত আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

সানবিডি/এএ